১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৪৫
শিরোনাম:

ঘুষের অর্ধকোটি (৫২ লাখ) টাকা বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে

ঘুষের অর্ধকোটি (৫২ লাখ) টাকা বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) বরিশালের বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলে রব্বে। কিন্তু এবার তা প্রকাশ্যে আনলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বান্ধবীকে দেওয়া অর্ধকোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি জব্দ করেছে কমিশন। ঢাকা টাইমস

এই সওজ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নেমে অ্যাকাউন্টটির খোঁজ পায় দুদক। শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফজলে রব্বের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি রেকর্ড সংগ্রহের পর্যায়ে আছে। বিভিন্ন জায়গায় সার্চিং চলছে। তাকে আবারও দুদক কার্যালয়ে তলব করা হবে।

সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত এই সওজ কর্মকর্তার বান্ধবীর ব্যাংক হিসাবে অর্ধকোটি টাকা জমা পড়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হলে অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে দুদক। এরপরই উচ্চপদস্থ ওই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি ব্যাংকে লেনদেনের সব তথ্য প্রমাণও সংগ্রহ করে কমিশন।

তদন্তে জানা যায়, নিজের হিসাব পরিচ্ছন্ন রাখতে অভিনব কৌশল হিসেবে ঘুষের অর্ধকোটি টাকা বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন ফজলে রব্বে। তিনি এই কাজে নিজের স্ত্রীকে বাঁচিয়ে একাধিক নারীকে যুক্ত করেছেন ঘুষের টাকা লেনদেনে।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফজলে রব্বের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। তাকে (ফজলে রব্বে) নোটিশ করা হয়েছিল উনি একবার দুদকে হাজির হয়েছেন। আমরা তার বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান এবং আইনি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় সার্চিং করছি। অভিযোগের বিষয়টি রেকর্ড সংগ্রহের পর্যায়ে আছে।

এ বিষয়ে সওজ কর্মকর্তার বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, ‘এসব তথ্য ভিত্তিহীন। খুঁজে খুঁজে কি শুধু আমার দুর্নীতির তথ্যটাই পাওয়া গেল। যা জানা নেই তা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। এদিকে অভিযুক্ত সওজ কর্মকর্তা ফজলে রব্বে হজ পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। ফলে এখনও তার বক্তব্য পায়নি গণমাধ্যম। সম্পাদনা : রাশিদ/মহসীন