২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:১৪
শিরোনাম:

২৭ বছর পর সরাসরি ভোটে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি

ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের বাকি ৬দিন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, এই দুই পদে ভোট হবে। কাউন্সিল ঘিরে এখন প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে, প্রার্থীরা ছুটছেন তৃণমুলে। এবারের কাউন্সিলে ভিন্নতা হচ্ছে ৫ম কাউন্সিলের দীর্ঘ ২৭ বছর পর সরাসরি ভোটে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক হবে। এতে অংশ নেবেন তৃণমূলের নেতারাও। ফলে পদপ্রত্যাশীদের কাছে কদর বেড়েছে তৃণমুলের। প্রার্থীরাও নানা ভাবে চেষ্টা করছেন তাদের পক্ষে ভোটারদের টানার। এক্ষেত্রে নানা প্রতিশ্রুতির সঙ্গে আঞ্চলিকতাকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রার্থীরা। কাউন্সিলরদের মধ্যেও রয়েছে উৎসবের আমেজ।

ছাত্রদলের কাউন্সিলের মাধ্যমে কেন্দ্র ও তৃণমুলের এই সেতুবন্ধনকে টেস্ট কেস হিসেবে নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দলের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম অঙ্গসংগঠনের কেনো কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। তার এই ফর্মূলা সফল হলে ভবিষ্যতে সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচনেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

ছাত্রদলের এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হবে, ঢাকায় বসে নেতা হওয়ার দিন শেষ বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র এক নেতা।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘কাউন্সিলের ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় বা চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের যেকোনো একটিতে আমরা কাউন্সিল করার চিন্তা করছি। শিগগিরই জানা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে, এটা বলার জন্য বলা। এবার যে পদ্ধতিতে ভোট হবে, সেখানে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে মনে করি না। কারণ সব মিলিয়ে ৫৬৬ জন কাউন্সিলর এবার তাদের নেতা ঠিক করবেন। ফলে সবাইকে সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দুরুহ কাজ।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন ছাত্রদলে সভাপতি হয়েছি তখনও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হয়েছে। এই কমিটির আগের কমিটি পর্যন্ত একই পন্থায় হয়েছে। এর আগে ৫ম কমিটি পর্যন্ত সরাসরি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক হয়েছে। এ কারণে এবারের কাউন্সিলকে আমরা ৬ষ্ঠ বলছি।’

শীর্ষনেতা নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আধুনিক পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। জাতীয় নির্বাচনের মতোই সিস্টেম। বুথ থাকবে, ব্যালট বাক্স থাকবে, ভোটার তালিকাসহ আনুষঙ্গিক সব কিছুই থাকবে।

নির্বাচনের তফসিল অনুসারে, ছাত্রদলের প্রতিটি শাখার শীর্ষ পাঁচজন নেতা ভোট দিতে পারবেন। সংগঠনটির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগের ১১৬টি শাখায় মোট ৫৬৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের ১৪ শাখায় ৭০ ভোট, বরিশাল বিভাগের ৯ শাখায় ৪৫ ভোট, ঢাকা বিভাগের ২৯ শাখায় ১৩৮ ভোট, রাজশাহী বিভাগের ১১ শাখায় ৫২ ভোট, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ শাখায় ৫৮ ভোট, কুমিল্লা বিভাগের ৬ শাখায় ৩০ ভোট, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ শাখায় ৪৫ ভোট, সিলেট বিভাগের ৭ শাখায় ৩৫ ভোট, রংপুর বিভাগের ১৩ শাখায় ৬৩ ও ফরিদপুর বিভাগের ৬ শাখায় ৩০ ভোট রয়েছে।