২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:১৯
শিরোনাম:

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে এখন সবাই সম্মান করে, ছবি তুলতে আসে

নিউজ ডেস্ক : বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে দেখলে এখন সবাই সম্মান করে। সবাই তার সঙ্গে ছবি তুলতে চায় বলে জানিয়েছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।

গতকাল মঙ্গলবার মিন্নিকে নিয়ে রাজধানীর গুলিস্তানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন বাবা কিশোর। এদিন গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আগে সব মানুষ আমাদের দিকে, আমার মেয়ে মিন্নির দিকে কেমন কেমন করে তাকাতো। আর এখন দেখলে মানুষ উৎফুল্ল হয়।’

মিন্নির জামিন হওয়ার পর পরিস্থিতি একদম পাল্টে গেছে জানিয়ে বাবা বলেন, ‘মিন্নিকে দেখে মানুষের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। পুরো মার্কেটের মানুষ একত্র হয়ে গিয়েছিল। মেয়েকে জামা-কাপড় কিনে দিলাম। দোকানিও খাওয়াতে চেয়েছে। দামে ডিসকাউন্ট দিয়েছে।’

মিন্নির বাবা আরও বলেন, ‘মানুষ শুধু জড়োই হয় না। ছবি তুলবেই তুলবে। ছবি তোলার জন্য ভিড় সামলানো যায় না।’

মিন্নিরা যখন শপিং করছিলেন, তখনকার কিছু ছবিতে মানুষের স্পষ্ট উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। মোজাম্মেল হক কিশোর বলেন, এটা মানুষের সম্মান। এই সম্মানের মর্যাদা যেন তারা রাখতে পারেন।

উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন মিন্নি ও তার বাবা। কয়েকদিন আগে মিন্নির আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাইকোর্ট ভবনে যান তারা।

এর আগে গত শনিবার বিকেল ৪টায় মিন্নি ও তার বাবা বরগুনার লঞ্চঘাট থেকে এমভি শাহরুখ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এদিন মিন্নির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।’ এ সময় মামলার বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলেও জানান তিনি।

গত ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। এর পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একই দিন রাত ৯টায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ছয় কিশোর অপরাধী শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে। এ ছাড়া মিন্নিসহ জামিনে রয়েছেন দুজন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।