১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:১৪
শিরোনাম:

৫০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ২৪ টন বেনাপোলে আটকা

শারদীয় দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা হিসেবে ৫০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ২৪ টন বেনাপোলে আটকা পড়েছে। রোববার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও কাগজপত্র ঠিক না থাকায় আটকা পড়ে ইলিশের প্রথম চালান।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতে ইলিশের প্রথম চালান দুপুরে যাওয়ার কথা থাকলে মাছ রফতানির জন্য কেউ কোনো কাগজপত্র দপ্তরে জমা দেয়নি। তবে সোমবার সকালে কাস্টম হাউজে কাগজপত্র দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

ইলিশ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মহিদুল হক বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির নির্দেশনা রয়েছে।

তিনি বলেন, রোববার বিকেলে ছয় ট্রাক মাছের মধ্যে মাত্র এক ট্রাক মাছ আমরা হাতে পেয়েছি। আজ রাতের মধ্যে আরও পাঁচ ট্রাক মাছ আসার কথা আছে। সোমবার সকালে মাছ রফতানির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমরা কাস্টমসে দাখিল করব। তারপর মাছ রফতানি হবে। প্রতি কেজি ইলিশ ছয় ডলার মূল্যে রফতানি করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশি টাকা প্রতি কেজির দাম পড়বে ৫০০ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টম থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করা হবে।

ইলিশ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার গাজীপুরের একুয়াটিক রিসোর্ট লিমিটেড। আমদানিকারক ভারতের কলকাতার নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টম কার্গো সুপার নাসিদুল হক বলেন, রোববার ইলিশ রফতানির কথা ছিল। কিন্তু ইলিশ রফতানির কোনো কাগজপত্র সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে জমা দেয়নি। মাছের ট্রাকও আমাদের কাগজপত্র দেয়নি। তবে সোমবার সকালে এসব কাগজপত্র দাখিলের কথা রয়েছে। কাগজপত্র দাখিল করলে ইলিশের চালানটি ছাড়া হবে।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। যদিও ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রফতানি করা হতো। তবে দেশে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় সরকার। সাত বছর পর পূজা উপলক্ষে ফের ইলিশ রফতানি শুরু হবে।