১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৩৬
শিরোনাম:

ক্যাসিনো সম্রাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে তামাশা: রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকারের দলদাস খাস লোকদের বেছে বেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শ্লোগান দেওয়া দলকানা কর্মীরা উপাচার্য হয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আবদুস সোবহান ‘জয় হিন্দ’ বলে দিলেন। তার মানে মুখে শেখ ফরিদ আর বগলের মধ্যে ইট। এই নিয়ে আওয়ামী লীগ চলছে। কোথায় সেই আপনাদের দেশপ্রেম।’ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সার্বভৌমত্বের প্রতি এত বড় অবমাননা হওয়ার পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হলো না। বাংলাদেশে বসে অন্য দেশের শ্লোগান ‘জয় হিন্দ’ বলা সার্বভৌমত্ব বিরোধী। এতে বোঝা যায় আওয়ামী লীগের হৃদয়ের মধ্যে ‘জয় হিন্দ’ আছে। অন্য কিছু নেই। তাদের আনুগত্য জয় হিন্দের প্রতি। তিনি বলেন, ‘চারদিকে মহা মহা দুর্নীতি হচ্ছে। চুনোপুঁটিদের দুর্নীতি শুনে আমরা বিস্মিত হচ্ছি তাহলে বড় বড় রুই কাতলা এদের কি পরিস্থিতি। এটা যদি লেখা যায়, জানা যায় তাহলে ইলিয়ট ওডিসি অথবা রামায়ণ মহাভারতের চেয়ে বড় মহাকাব্য লেখা যাবে এই সব দুর্নীতির মহাকাব্য। লোক দেখানো দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আপনাদের অপকর্ম, মধ্যরাতের নির্বাচন, ভোট ডাকাতি ধামাচাপা দিতে পারবেন না।’

এ সময় ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মো. নেছারুল হক, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন আমেরিকা থেকে বলছেন দুর্নীতির জন্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গরিব মানুষের হকের টাকা যায় ত্রাণের তহবিলে। সেখানে মাত্র চার টাকা ভাগে পড়ে গরিব মানুষের, আর আপনার থানার লোক দলের ওয়ার্ড লেভেলের একটা নেতাকর্মীর চার-পাঁচটা করে বাড়ি, আপনি কি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ? আপনি কি কোনদিন তাকিয়ে দেখেননি কি কি ঘটনা ঘটছে? আজকে এমনই অনাচারের মধ্যে দেশ। চারিদিকে ভয় আর আতঙ্ক। কিন্তু তার সেই দিন এখন শেষ হয়ে এসেছে। কিছুদিন হয়তো ভয় পাইয়ে রাখা যায়। এর বেশি নয়। জনগণ ঠিকই সময় মতো জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।যারা বন্যার্তদের খাদ্য আত্মসাৎ করেছে, শিশুখাদ্য লুট করেছে। এই দেশের মাটিতেই তাদের বিচার হবে। তারা পালিয়ে যেতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার জনগণকে ভয় পায়। রাজশাহীর জনসভায় বাধা দেওয়া হয়েছে। মাটির বাধ এমনকি লোহার বাধ দিয়েও তাদেরকে আটকানো যায়নি। কিন্তু জনগণ পথে পথে বাধা ও গ্রেফতার অতিক্রম করে জনসভা সফল করেছে। অনেক লোক দেখলেই আওয়ামী লীগ সরকার আতঙ্কিত হয়ে উঠে। কত খেলা কত গল্প? তাদের হাতে পুলিশ তাদের হাতে র‌্যাব কিন্তু তাও নাকি একটি লোককে খুঁজে পাচ্ছে না। ক্যাসিনো সম্রাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে,এই করা হচ্ছে সেই করা হচ্ছে এই তামাশা কেন এটা কি মানুষ বোঝে না ? এতগুলো ক্যাসিনোর ভাগ কাদের পকেটে যেত ?কি কি ঘটনা ঘটছে আজকে সবই আপনাদের লোকদের। বিদেশের মাটিতে বেগম পল্লী কারা বানাচ্ছেন? বন্যার্তদের জন্য পরিদর্শনে গিয়ে ত্রাণের টাকা খাচ্ছেন। এদেরকে তো আপনিই পালন ও ভরণ পোষণ করেছেন। এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকবেন? মাছ কিন্তু ঠিকই দেখা যাবে।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল:

জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কার্যালয়ের নিকট এসে শেষ হয়। নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে জাসাস সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাট্যাভিনেতা বাবুল আহমেদ, সহ-সভাপতি বিশিষ্ট গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, কন্ঠশিল্পী হাসান চৌধুরী, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, জাকির হোসেন রোকন,চৌধুরী মাজহার আলী শিবা সানুসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ নেন।