২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৫৫
শিরোনাম:

খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে কাদেরের সঙ্গে কথা বললেন বিএনপির হারুন রশীদ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। বুধবার সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন হারুনুর রশীদ। এসময় তিনি খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথা বলেছেন।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির এই এমপি। খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করাতে পাঠানোর মাধ্যমে তাকে কি বিএনপির রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চাচ্ছেন ,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এটি ঠিক নয়। তার ৭৬ বছর বয়স। তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। তার জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। সে কারণে আমরা বলেছি তাকে জামিন দেন এবং তার চিকিৎসা করাবো। এর মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই। খালেদা জিয়াকে কি দেশে নাকি বিদেশে চিকিৎসা করাবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে তার মুক্তি হোক। তারপর দেখা যাবে চিকিৎসা দেশে হবে নাকি বিদেশে।

এর আগেও একবার তার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল সে বিষয়ে জানতে চাইলে হারুনুর রশীদ বলেন, প্যারোল নিয়ে আগে কোনো আলোচনা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও প্যারোলের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও তার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কোনো আবেদন করা হয়নি। এই প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি মিডিয়া থেকে এসেছে। এটা মিডিয়ার সৃষ্টি।

খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে ওবায়দুল কাদের কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
জামিন দেওয়া তো আদালতের বিষয়, তারপরও আপনারা কেন সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেন? জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার কথা আপনারা সবাই জানেন। রাজনীতিকদের নামে অনেক মামলা হয়, সাজাও হয়। আবার তা সরকারের মধ্যস্থতায় ফয়সালাও হয়। অনেক ছোট ছোট নেতা এভাবে জামিন নিয়ে বিদেশে চলেন গেছেন। খালেদা জিয়া তো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, উনি কেন জামিন পাবেন না।

আপনারা খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে বারবার সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন, এটা রাজনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত বহন করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এটি সমঝোতা হতে যাবে কেন? যে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় এসেছে সেটি তো প্রশ্নবিদ্ধ। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তো কিছুদিন আগে লন্ডনে তার চোখের অপারেশন করিয়েছেন, যা দেশে সম্ভব ছিল। কাজেই সামর্থ্য থাকলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কেন বিদেশে হবে না। তিনি বলেন, আমি আবারও আপনাদের বলছি একজন সন্তান হিসেবে অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসার বিষয়ে যা যা করা দরকার সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমি খালেদা জিয়ার জন্য জামিন চাইতে এসেছি। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। জামিন পেলে তার চিকিৎসা করানো হবে।