১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:১৭
শিরোনাম:

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে একবার দেখতে আসুন, আপনারও মায়া হবে; প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপি

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার দাবিতে এবার তৎপর হয়েছেন বিএনপির সাংসদরা। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন দলীয় চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলের তিন এমপি। তারা হাসপাতাল ফটকে সাংবাদিকদের কাছে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারিরীক অবস্থা তুলে ধরেন। এসময় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, আমি সংসদ নেতার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে আহবান জানাবো আপনি একবার এসে দেখে যান, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী কি অবস্থায় আছেন। আমি নিশ্চিত যে আপনার ভেতরে মানবতাবোধ জাগ্রত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার সবিনয় অনুরোধ আমলাতান্ত্রিকভাবে না দেখে আপনি জামিনের জন্য পদক্ষেপ নিন। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপি নেত্রী রাজনৈতিক বন্দি। তাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া তার মুক্তি হবে না। এজন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার।

জামিনের বিষয়টা আদালতের তো আপনারা মানবিক বিষয় হিসেবে কেন দেখছেন এ প্রশ্নের জবাবে সিরাজ বলেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কি হবে? আজকে হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্ট বিব্রত বোধ করেন।

বিএনপির সংসদ সদস্য বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কারো সাহায্য ছাড়া খেতে পারছেন না, হাটতে পারছেন না। এখানে তার কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।

এমপি সিরাজ বলেন, ম্যাডাম অবশ্যই মুক্তি চান। তিনি অপরাধ করেননি। তবুও বন্দি আছেন। অবশ্যই মুক্তি চান। চিকিৎসার ব্যাপারে তার বক্তব্য তিনি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেখানে বিদেশে চিকিৎসার কথা আসছে কেন। তিনি মুক্তির পরে সিদ্ধান্ত নেবেন দেশে নাকি বিদেশে চিকিৎসা নেবেন। আগেতো মুক্তি দরকার। তিনি তো সহসা বিদেশে চিকিৎসা নিতে চান না। এর আগেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম বলা হয়েছে। সেই নিজস্ব ডাক্তারের চিকিৎসা নিতেও দেয়া হয়নি। বিদেশে যদি যাওয়া লাগে যাবেন। সেটা ওনার নিজের সিদ্ধান্ত-পরিবারের সিদ্ধান্ত। সেটাতো আমরা বলতে পারি না।

এসময় রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, ম্যাডাম বলেছেন জামিন তার হক। দেশের আইন অনুযায়ী তিনি জামিন লাভের যোগ্য। তিনি তো কোনো অপরাধ করেননি। সুতরাং এখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসবে? প্যারোলের কোনো কথাই হয়নি। তিনি কোনো অপরাধ করেননি। যে টাকার কথা বলা হয়েছে সে টাকা বেড়ে ৬কোটি হয়েছে।

রুমিন বলেন, আমি দীর্ঘ সময় আদালতে কাজ করছি। এ ধরণের মামলায় একটি আবেদনে জামিন হয়ে যায়। সেখানে আজকে ১৮ মাসের ওপরে এরকম শারিরীক অবস্থায় ম্যাডাম কারাগারে আছেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। আজকে তার এই শারিরীক অবস্থার জন্যে সরকার দায়ী। তাকে কোনো রকমের সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তার অবস্থা যেটা হয়েছে তিনি কোনো কাজ করতে পারেন না। এজন্য সর্ম্পূণ সরকারই দায়ী। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন মোশাররফ হোসেন এমপি ও জাহিদুর রহমান এমপি।

এর আগে বেলা তিনটার দিকে বিএনপি দলীয় চার এমপি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। তারা চারটার কিছু আগে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসেন। হাসপাতালের বাইরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুল রহমান খোকন।