২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:১৯
শিরোনাম:

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের মাধ্যমে দেশের জনগণ সুখবর চায়: মির্জা ফখরুল ইসলাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মাধ্যমে দেশের জনগণ সুখবর চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ফখরুল বলেন, আজকে গেছেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সঙ্গে এই সরকারের নাকি সুউচ্চ সম্পর্ক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যতবার ভারত যান বারবার আমরা হতাশ হই। যতবার যান আসার পর দেখি আমাদের মূল সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হয় না।

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের মাধ্যমে দেশের জনগণ সুখবর চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্তে হত্যা সমস্যার সমাধান হয় না, তিস্তার পানির সমস্যার সমাধান হয় না, ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়ায় আমাদের বন্যা হয়ে যায় সেই সমস্যার সমাধান হয় না, বাণিজ্যের মধ্যে যে ভারসাম্যহীনতা আছে তার সমাধান হয় না। জনগণ চায় তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ পাবে। আমরা আশা করবো সীমান্তে যেন হত্যা বন্ধ হয়ে যায়।

কারও অনুকম্পায় খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন না, এমন আশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি অবশ্যই তার যে হক, ন্যায্য অধিকার, জামিন পাওয়ার অধিকার, সেই অধিকারেই মুক্ত হবেন। বেআইনি, মিথ্যা মামলা দিয়ে আর যাই করা হোক, খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা যাবে না। জনগণ অবশ্যই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীকে বের করে নিয়ে আসবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে দুর্নীতি সম্ভব হবে না, নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে পারবে না এজন্য তাকে আটকে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের কথা বলে গণতন্ত্র ধ্বংস করে তাদের কৌশল পাল্টে এখন সংবিধান ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, আজকে ক্যাসিনো নিয়ে অনেক লাফালাফি হচ্ছে। ক্যাসিনোর চেয়ে যে বড় সম্পদ ‘ভোটের অধিকার’ স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার, লুট হয়ে গেছে। সেজন্য আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল আমিন গাজী, কাদের গনি চৌধুরী, শামীমুর রহমান শামীম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।