২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৫৪
শিরোনাম:

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ফেঁসে যেতে পারেন ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী

চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কমিটি বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ হারিয়েছেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। এখন অনেকটা নিঃসঙ্গ দিন কাটাচ্ছে তাদের। এমনকি এড়িয়ে যাচ্ছেন ঘনিষ্ঠজনদেরও। সমকাল

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে যেকোনো সময় এরাও ফেঁসে যেতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে। জানা গেছে, এ দুই নেতার চলাফেরার ওপর গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। গোয়েন্দারা এদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছেন।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী শীর্ষ পদ হারানোর পর থেকেই দুই নেতাই অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান। নিজ নিজ বাসা থেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হন না। নেতাকর্মীদেরও এড়িয়ে যান। দুই নেতা চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যেকোন সময় ফেঁসে যাওয়ার ভয় তাড়া করছে তাদের।

শোভনের অনুসারী নেতাকর্মীরা মনে করেন, শোভন এমন অপরাধ করতে পারেন না। তিনি ‘দাবার গুটি’ হয়ে গেছেন। ১৪ই সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের পদ হারানোর পর শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট থেকেও পদত্যাগ করেছেন। যেটি সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

অন্যদিকে, রাব্বানী এখন বেশিরভাগ সময় হাতিরপুলে মোতালেব প্লাজার বাসায় কাটাচ্ছেন। তিনিও খুব প্রয়োজন না হলে বাসা থেকে বের হন না। সেখানে তার বাবা রয়েছেন। তবে তার বাসায় কিছু নেতাকর্মীর আনাগোনা এখনো রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রাব্বানীর সঙ্গে।

অন্যদিকে দুর্নীতি অনিয়ম ও নৈতিক অধঃপতনের কারণে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ হারানোর পর রাব্বানীর ডাকসুর জিএস পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তিনি এখনো পদ ছাড়েননি। এমনকি ডাকসুতেও আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ভর্তি পরীক্ষার মতো বড় আয়োজনেও তাকে কোনো ভূমিকায় দেখা যায়নি।