২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:০৮
শিরোনাম:

স্মার্টফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন

যোগাযোগ ছাড়াও ছবি তোলা, গান শোনা, মুভি দেখা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ক্লাউডে সংরক্ষণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ নানা কাজে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন। এ ডিভাইসটি ছাড়া যেন একটি মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না।

অনেক সময়ই দেখা যায়, জানা না থাকায় সঠিক স্মার্টফোনটি বাছাই করতে অনেকেই ব্যর্থ হন। তাই কেনার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করবেন।

১. ডিসপ্লের রেজুলেশন:

স্মার্টফোনের ব্যবহারের ওপরই ডিসপ্লের আকার বা রেজুলেশন নির্ভর করে। ভিডিও, ছবি বা ভিডিও সম্পাদনা অথবা ডাউনলোড ও সিনেমা দেখার জন্য ডিভাইসের ডিসপ্লে সাড়ে ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি হলে ভালো হয়।

২. গঠন কাঠামো:

স্মার্টফোনের মতো মোবাইল ডিভাইসের স্থায়িত্বনির্ভর করে এর কাঠামোর ওপর। ধাতব ও প্লাস্টিক এ দুই কাঠামোয় বিভক্ত হ্যান্ডসেটের পুরো বাজার।

৩. ব্যাটারির স্থায়িত্ব:

ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে স্মার্টফোন ব্যাটারির আয়ুষ্কাল। বিভিন্ন অ্যাপ, গেম এবং ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মতো কাজের জন্য স্মার্টফোন ব্যাটারি ৩০০০ থেকে ৩৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের হলে ভালো হয়। শুধু যোগাযোগের কাজে ব্যবহারের জন্য হলে ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার বা তার চেয়ে কম হলেও চলে।

৪. প্রসেসর কেমন:

ডিভাইসভেদে প্রসেসিং ক্ষমতা পরিবর্তিত হয়। ডিভাইসের তথ্য প্রসেসিং বিষয়টি কিছুটা অপারেটিং সিস্টেমের ওপরও নির্ভর করে। ছবি ও ভিডিও সম্পাদনার পাশাপাশি গেম খেলতে হলে সর্বশেষ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর সংবলিত ডিভাইস ব্যবহার করাই শ্রেয়। পাশাপাশি মিডিয়াটেক প্রসেসর যুক্ত হ্যান্ডসেটও বেছে নেয়া যেতে পারে।

৫. র‌্যাম:

স্মার্টফোন কত দ্রুত কাজ করবে তা অনেকটা র‌্যামের ওপরই নির্ভর করে। ইন্টারনেট সেবার সহজলভ্যতার কারণে ডাটা ব্যবহার বেড়েছে। স্বাচ্ছন্দ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বা মুভি দেখার জন্য ২-৩ গিগাবাইটের র‌্যাম সংবলিত ডিভাইস হলে ভালো। তবে সাধারণ কাজের জন্য ২ গিগাবাইট র‌্যামের স্মার্টফোন হলেই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়।

৬. ক্যামেরা:

মেগাপিক্সেল বেশি হলেই স্মার্টফোনের ক্যামেরাটি সেরা হবে, এমন ধারণা অনেকের। কিন্তু বিষয়টি একেবারেই তা নয়। মেগাপিক্সেলের পাশাপাশি ক্যামেরা অ্যাপারচার, আইএসও লেভেল, পিক্সেলের আকার ও অটোফোকাসের মতো ব্যাপারগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

৭. অপারেটিং সিস্টেম ও ইউজার ইন্টারফেস:

স্মার্টফোন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইউজার ইন্টারফেস ও ডিভাইসটি কোন অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) চালিত, সেটাতে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ৮. স্টোরেজ:

৩২জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোন কিনলেই যথেষ্ট। তবে ৬৪ বা ১২৮ জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোনও রয়েছে। তবে মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারযোগ্য ৩২ জিবি স্টোরেজের ডিভাইসও কেনা যায়।

৯. অডিও-স্পিকার:

ভিডিও স্ট্রিমিং অথবা ভিডিও কনফারেন্সের কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে স্পিকার ও মানসম্মত অডিও প্রযুক্তিতে।

১০. সিকিউরিটি সিস্টেম:

এখন বেশির ভাগ ডিভাইসেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বা আইরিস সেন্সরের মতো অতিরিক্ত নিরাপত্তা ফিচার থাকে। এগুলো কেবল হ্যান্ডসেট লক-আনলকে নয়, কাজ করে নির্দিষ্ট ফাইল, নথি অথবা অ্যাপে অ্যাকসেস পেতে পাসওয়ার্ডের বিকল্প হিসেবে।

১১. হেডফোন জ্যাক ও ইউএসবি পোর্ট:

স্মার্টফোনে এখন মাইক্রো-ইউএসবি ও ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট সহজলভ্য হলেও এগুলোয় গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। তবে ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টবিশিষ্ট স্মার্টফোন কেনাই ভালো। এর মাধ্যমে চার্জ দেয়া সহজ। কিছু ডিভাইসে থাকে সাড়ে ৩ মিলিমিটারের হেডফোন জ্যাক। এগুলো বছর দুয়েক ভালো কাজ করতে সক্ষম।