২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:৪৫
শিরোনাম:

মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে বিয়ে

৬ সন্তানের জনক ৩৩ বছরের স্ট্রাইকেন গ্যারি স্মার্ট একজন বিবাহিত মানুষ হিসেবে মনের বাসনা পূর্ণ করলেন। নববধূকে তার সন্তান সন্ততিসহ এ দুনিয়ায় রেখে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে তিনি যাজক ডেকে হাসপাতালে শায়িত অবস্থায় বিয়ে পর্ব সারলেন। ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এ ধরাধাম থেকে চলে যাওয়ার আগে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন তার প্রিয়তমা ৩১ বছরের লরাকে। লরার আর কিছুই দেয়ার ছিল না। শেষ অথচ বিয়ের পর প্রথম চুম্বন আঁকলেন লরা তার স্বামী গ্যারির কপালে। ক্যান্সার আক্রান্ত হবার পর বিয়ের এ দিনটি ছিল সবচেয়ে মহৎ এক পরিণতির দিন।

ব্রিটেনের এই সাহসী পিতা গ্যারি নর্থদাম্পটন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসায় আসার আগে কি বর্ণিল জীবনই না কাটিয়েছেন। সন্তান বাৎসল্যে বঞ্চিত হয়নি তার কোনো সন্তান। কিন্তু ফুঁসফুঁসের ক্যান্সার তাকে থামিয়ে দিল। কিন্তু হাসপাতালের বিছানায় শায়িত অবস্থায় লরার হাতে হাত রেখে গ্যারি যে তাদের জীবনের একটি বিশেষ আবেগ ও শেষ মূহুর্তের স্বাক্ষর রাখলেন তাতে বিন্দু মাত্র বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি ক্যান্সার। পাশের ওয়ার্ডে তখন আমন্ত্রিত অতিথিরা অপেক্ষা করছেন। এই নবদম্পতিকে উইশ করছেন মনে মনে। কারণ তারা জানতেন দিন কয়েকের মধ্যে গ্যারি চিরতরে চলে যাবেন না ফেরার দেশে।

হ্যা, বিয়ের সাত ঘন্টার পর গ্যারি মারা যান। তার স্ত্রী লরা বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর গ্যারি তাকে বলেন, সে বিবাহিত মানুষ হিসেবে মারা যেতে চায়। আমরা মনে করেছিলাম আরো দিন কয়েক সময় পাব। কিন্তু চিকিৎসকরা বললেন আমাদের হাতে খুব অল্প সময়ই আছে এবং গ্যারির শেষ ইচ্ছা জানার পর তারাই বিয়ের ব্যবস্থা হাসপাতালেই করে দেয়। আমার মা ও আমি যেয়ে বিয়ের আংটি কিনে আনি। অনুমতি পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাজককে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় আসার আমন্ত্রণ জানান। এক ঘন্টার এ বিয়ের অনুষ্ঠানে ২৫টির বেশি পরিবার ও বন্ধুরা এসে যোগ দেন। লরা আরো বলেন, তারা যেন গ্যারিকে শেষ বিদায় জানাতেই এসেছিলেন। কারণ সকলেই জানতাম ও চলে যাচ্ছে।

লরা বলেন, গ্যারি আমার আঙ্গুলে বিয়ের আংটিটি পড়িয়ে দিল। রাতে ওর সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। ঘুমাতে চেষ্টা করছিলাম কিন্তু মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল। দেখি ও আমার দিকে পলকহীন চোখে চেয়ে আছে। ওর যেন আমার কাছ থেকে অনেক দূরে যাবার চেষ্টা করছে। অক্সিজেন মাস্কটা ওর নাকে নেই। ও তখন চলে গেছে। আমাদের বিয়ের আয়ু ছিল মাত্র সাত ঘন্টা কিন্তু আমি ওর সাধ পূরণ করতে পেরেছি বলে সুখি ও গ্যারির কাছে কৃতজ্ঞ। দি সান