১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:১৯
শিরোনাম:

ভোলায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিপ্লব রিমান্ডে, তৌহিদীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অনাগ্রহ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা নেই। মাত্র দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু যে তরুণের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা উল্টো তাকেই রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ডয়চে ভেলে

বোরহানউদ্দিনে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ানো হয়েছিলো বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে। সংঘর্ষের আগের দিন শনিবার বিপ্লব বোরহানউদ্দিন থানায় জিডিও করেন। আর হ্যাকিং সঙ্গে জড়িত দুইজন মো. ইমন ও রাফসান ইসলামকে আটকও করেছে পুলিশ। তারপরও পুলিশ হ্যাকিং-এর সঙ্গে জড়িত দুইজনের সঙ্গে একই জিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিপ্লবকে আসামি করেছে। বৃহম্পতিবার বিপ্লবকেও ওই দুইজনের সঙ্গে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ভোলার আদালত।

বোরহানউদ্দিন থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মোহাইমেনুল ইসলাম শাওন শুক্রবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, বিপ্লব জিডি করেছে যে তার আইডি হ্যাক হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতই কী ঘটেছে তা এক্সপার্ট মতামত না পাওয়ার আগে বলা যাবে না। আর যে দুজনকে আটক করা হয়েছে তাদের একজন অন্যজনের মোবাইল ব্যবহার করে হ্যাক হওয়া আইডি ফেরত দিতে বিপ্লবের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিলো। এখন বিপ্লব তার আইডি হ্যাক হওয়ার আগে মেসেজ দিয়েছে না অন্যরা হ্যাক করে দিয়েছে তা এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। সে জন্যই মামলা এবং রিমান্ড।

বোরাহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক সংঘর্ষের দিন রবিবার সন্ধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি যে বিপ্লবের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখেছি যে তার ফোন থেকেও কোনো ফেসবুক মেসেজ দেয়া হয়নি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তারপরও বিপ্লবকে রিমান্ডে আনার কারণ জানতে চাইলে শুক্রবার তিনি বলেন,‘‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এখন আমি কোনো মন্তব্য করবো না।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ভোলা জেলা শাখার শভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বলেছেন বিপ্লবের ফেসবুক কে হ্যাক করেছে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরজন্য ফেসবুকের সহায়তা নেয়া হয়েছে। শিগগিরই হ্যাকারকে দেখতে পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এরপর তাকে রিমান্ডে নেয়া, তার বিরুদ্ধে জিজিটাল আইনে মামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।