২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:০৩
শিরোনাম:

১০ টাকার চাল : আরও ২ মাস দেবে সরকার, বলেন কৃষিমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

দেশের হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সময় আরও ২ মাস বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি প্রণোদনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এমনকি গ্রাম পুলিশদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকার কী করছে- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকালও (মঙ্গলবার) মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন- তোমরা একটা বুদ্ধি বের কর, কীভাবে চাষিদের ন্যায্যমূল্য দেয়া যায়। সরকার চাল কিনলে তো সেটা আবার রিলিজ করতে হবে, কতদিন গুদামে রাখবেন। চিরদিন তো গুদামে রাখা যাবে।’

আমন সংগ্রহের বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি সভা হবে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গতকাল একটা ইঙ্গিত….আগামীকাল (সভায়) যেগুলো চূড়ান্ত হবে। ১০ কেজি চাল চাল যেটা আমরা দেই, এটার পরিমাণ আমরা বাড়িয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে আরও ২ মাস বেশি দেয়া হবে। এখন ৫ মাস দেয়া হয়, এটাকে আরও ২ মাস বাড়ানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রাম্য চৌকিদার, দফাদার, গ্রাম্য পুলিশ যারা, তাদের ১০ টাকা কেজি দরে চালের সুবিধা দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আর কেনার ব্যাপারে…আগে বেশির ভাগই চাল কেনা হত। এখন সেটা বেশির ভাগ ধান কেনা হবে। সেই প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি, সেটা চূড়ান্ত হবে আগামীকালে (বৃহস্পতিবার) মিটিংয়ে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মিলারদের গুদামে ধান রাখার ম্যাকানিজম আমরা বের করছি। এ জন্য মিলারদের ধান ভাঙানো ও রাখার জন্য আলাদা একটা খরচ দেব। এখন আমাদের গুদামের স্বল্পতা রয়েছে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে। ডিএপি সারের দাম কমানোর কথা আমরা চিন্তা করছি। সেই বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন। আমরা কিছু এখনও বলিনি, এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এসব পরিবারগুলোকে প্রতিমাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। পল্লী অঞ্চলের কর্মাভাবকালীন মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এ পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আরও ২ মাস বাড়লে মোট ৭ মাস এ সহায়তা পাবেন হতদরিদ্ররা। তবে কোন দু’মাস এ সহায়তা দেয়া হবে সেই বিষয়ে কিছু জানাননি কৃষিমন্ত্রী।