২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪৬
শিরোনাম:

নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন পর মধ্যরাতে থেকে ইলিশ আহরণ শুরু

নইন আবু নাঈম, শরনখোলা (বাগেরহাট)ঃ ইলিশসহ সবধরণের মৎস্য আহরণে ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ। মধ্যরাত থেকে আবার সকল নদ-নদীতে শুরু হবে মাছ ধরার ধুম। ইলিশ শিকারিরাও সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন
করে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার অপেক্ষায়। নিথর মৎস্য আড়ৎ, জেলেপল্লী হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। বুধবার সকালে বাগেরহাটের শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও বরফ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ফিশিং ট্রলার কলগুলোর ঘাটে ভিড় করে আছে বরফের অপেক্ষায়।

জেলে ও বরফ কলের শ্রমিকরা ট্রলারে জাল তুলছে, জ্বালানী তেল, বরফ ভরছে। আর রসদ কেনাকাটায় ব্যস্ত মহাজনরা। এসময় কথা হয় এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি ভোলার মো. বাবুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, মাছ ধরা পেশায় থেকে সারা বছরে পরিবারের কারো সঙ্গেই দেখা-সাক্ষাৎ হয়না। তাই অবরোধের অবসর সময়টা বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন। তার ট্রলারের ১৭জন জেলে সবাই যার যার বাড়ি থেকে আবার ফিরে
এসেছে।

মৎস্য আড়ৎদার মো. কবির হাওলাদার জানান, অবরোধের মধ্যে জাল, ট্রলার, ইঞ্জিন মেরামত করে প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন করে জেলে-মাঝি নিয়োগ এবং সাগরে পাঠানো পর্যন্ত একেকটি ট্রলারে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হবে প্রত্যেক ,মালিকের। বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় মৎস্য সমিতির
শরণখোলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, অবরোধের মধ্যে শরণখোলার কোনো জেলে মাছ ধরতে নামেনি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা পালনে আমরা সবাই সহযোগিতা করেছি। রাত ১২টার পর থেকে কমপক্ষে তিনশ’ ট্রলার বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। শরণখোলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, শরণখোলার মৎস্যজীবিরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জেলে-মহাজনসহ সবার সহযোগিতায় ২২দিনের অবরোধ
সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।