২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:০১
শিরোনাম:

২২ দিন পর জেলেরা গভীর সমুদ্রে

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ। দীর্ঘ ২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধ থাকার পর জেলেরা ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছে। এর ফলে ফের কর্মচঞ্চল হয়ে
উঠছে মাহিপুর আলীপুর মৎস্য বন্দর সহ জেলে পল্লী গুলো। এদিকে নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে ৮৭ হাজার মিটার জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া দুই মৎস্য ব্যবসায়িকে আটক করে ১ বছর বিনাশ্রম করাদন্ড দিয়েছে প্রশাসন।

দীর্ঘ অবরোধের পর জেলেদের জালেমিলবে ঝাঁকেঝাঁকে রুপালী ইলিশ এমন আশায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়
হাজার হাজার জেলে বুক বেঁেধছে। বুধবার গভীর রাত থেকে জেলেরা ট্রলার নিয়ে দলেদলে গভীর সমুদ্রে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে বলে একাধিক জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার ফলে দখিনের বড় মাছের মোকাম আলীপুর-মহিপুরের আড়ৎ গুলো হয়ে পড়েছিল নিস্প্রান। বুধবার অবরোধের শেষ দিন। উপকূল থেকে অনেক জেলেরা মধ্য রাতেই ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গভীর সাগরের রওনা করে
গেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়িরা। এদিকে আড়ৎ সংলগ্ন মুদিমনোহরী দোকানে জেলেদের বাজার-সদাই করার ভীড়ও লক্ষ্য করা গেছে।

স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে গত ৯ অক্টোবর দিবাগত মধ্য রাত থেকে ৩০ অক্টোবর মধ্য রাত পর্যন্ত দেশের ৭ হাজার কিলোমিটার জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞাজারি করে সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় সাগর কিংবা নদীতে কোনজেলেরা মাছ শিকার করেনি। দীর্ঘ অলস সময় কাটিয়েছে ওইসব জেলেরা।মৎস্য ব্যবসায়ি মো.মনিরুল ইসলাম জানান, অধিকাংশ ট্রলারই আড়ৎ ঘাট থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে ছেরে গেছে। ওইসব ট্রলার গুলো গভীর সমুদ্র থেকে রুপালি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরবে। আর জমে উঠবে দখিনের সবচেয়েবড় মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর।

ট্রলারের মাঝি আবদুল রহমান জানান, মাছ শিকার ছাড়া আর কোন পেশার অভিজ্ঞতা না থাকায় দীর্ঘ ২২ দিন মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে। এখন সরকারে দেয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ। তাই বাজার-সদাই করে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করবো। মহিপুর ফিশিং ট্রলার মাঝি সমিতির সভাপতি মো. মালেক হালাদার বলেন,
সরকারের দেয়া অবরোধ মেনে আমরা সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাইনি। কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ২২ দিন আলীপুর-মহিপুরের আড়ৎ গুলো হয়ে পড়েছিল নিস্প্রান। বেকার, আলস সময় পার করেছেন সংশ্লিস্ট শ্রমিকরা। ফের কর্ম
চঞ্চল হয়ে উঠছে। তবে সাগরে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে বলে এমনটাই আশা
করেছেন তিনি।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও জেলেরা শতভাগ সরকারের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন  করেছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে ৮৭ হাজার মিটার জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া দুই মৎস্য ব্যবসায়িকে আটক করে ১ বছর বিনাশ্রম করাদন্ড দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।