১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:২৯
শিরোনাম:

দীল্লিতে মাত্রাতিরিক্ত বায়ু দূষণ, ‘খেলা’ ছাড়া প্রায় সবই বন্ধ

ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি খেলতে দিল্লীতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। শহরটির বায়ু দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রায় সবরকম কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন দিল্লী এখন ‘গ্যাস চেম্বার’। সে শহরের মাটিতে ম্যাচ গড়ানো খুবই বিপজ্জনক। দীপাবলির পর বায়ু দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়েছে। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর ঝুঁকি।

দিল্লীর এনভায়রনমেন্ট কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অথোরিটি আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের কনস্ট্রাকশন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। একইসাথে বন্ধ থাকবে সব ধরনের স্কুল। এই যখন খোদ প্রশাসনের প্রস্তুতি, তখন দিল্লীতে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থাটা কি দাঁড়াবে, সেটাই প্রশ্ন।

অনুশীলনের প্রথম দিনে দেখা যায় লিটন দাসকে মাস্ক পরতে দেখা গেলেও পরে কোচিং স্টাফ-খেলোয়াড় সবাই-ই অনুশীলনে নামলেন মাস্ক পরে। দলকে দেখে মনে হলো, যে যেভাবে পারছেন দূষণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবুও নিঃশ্বাসের সাথে কোনো না কোনোভাবে ঢুকে পড়ছে বিষাক্ত বায়ু। তাই একটু পরপর হাঁসফাঁস করা ছিল নিয়মিত চিত্র। চোখ জ্বালাপোড়া, লাল হয়ে যাওয়া- এসব তো আর নিয়মিত চিত্রই।

হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে দেখতে শান্ত স্বভাবেরই মনে হলেও কনফারেন্সে দিল্লীর দূষণ নিয়ে সমালোচনা না করে পারেননি। পরিবেশ খেলার জন্য আদর্শ না হলেও দায়িত্ব ও পেশাগত দিক বিবেচনায় খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে- যেখানে দিল্লীর স্কুলগুলোও বন্ধ, সেখানে দুটি দেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের লড়াইয়ে নামিয়ে দেওয়া কতটা যৌক্তিক? ধোঁয়া ও ধুলায় ভরা দিল্লীতে জনজীবন এখন বিপর্যস্ত। ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করা নীরস আবহাওয়া দূষণের গতিকে যেন আরও তরান্বিত করছে। এভাবে চলতে থাকলে দিল্লীর জনজীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে যাবে!