২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৫২
শিরোনাম:

শরণখোলায় সন্ত্রাসী গামছা বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত ৪ থানায় মামলা

নইন আবু নাঈম, শরনখোলা (বাগেরহাট)ঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় সন্ত্রাসী গামছা বাহিনীর হামলায় গুরুতর
আহত হয়েছেন ৪ জন। ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায় শরণখোলা উপজেলা ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামে সদ্য গজিয়ে উঠা সন্ত্রাসী গামছা বাহিনীর একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ বভিন্ন অপরাধমূলক কর্ম কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এরা হচ্ছে শরণখোলার নলবুনিয়া গ্রামের বেলায়েত তালুকদারের ছেলে রিয়াজ তালুকদার (২২), শহিদুল হাওলাদের ছেলে সুজন হাওলাদার (২৫), জামাল মল্লিকের ছেলে সুজন মল্লিক (২১), মোস্তফা আকনের ছেলে মহিম আকন (২০), জয়নাল হাওলাদারের ছেলে তানভীর হাওলাদার (২২), শহিদুল হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার (২৫), খায়ের তালুকাদেরর ছেলে শাকিল তালুকদার (২০), নুরউদ্দিনে ছেলে কবির হাওলাদার (৩৫) সহ আরও ১০/১২ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী দল (গামছা বাহিনী) গত ৩০ অক্টোবর, বুধবার, অনুমান ৪:৩০ মিনিটে উপজেলা নলবুনিয়া গ্রামস্থ একটি কালভার্টের পূর্ব পাশের্^ কার্পেটিং রাস্তার উপরে
পূর্ব শত্রুতার জের মিটাতে সন্ত্রাসী গামছা বাহিনী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠি, হক ষ্টিক, লোহার রড এবং ধারালো অস্ত্র সহ দিনমজুর ট্ধসঢ়;্রলী চালক সোহাগ মুন্সীর ট্রলীর গতি রোধ করে এলোপাতারী মারধর করতে থাকে এবং ট্রলী চালক সোহাগের দুই চোখ উক্ত সন্ত্রাসীরা উপরে ফেলার চেষ্টা করে (হাসপাতাল সূত্র জানায়,
সোহাগ মুন্সীর ডান চোখের অবস্থা আশংকাজনক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকৎক্ষনিক গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করে)।

সোহাগ মুন্সীকে মারধর করতে থাকা অবস্থায় একই রাস্তা থেকে ভ্যানযোগে আসা সোহাগ মুন্সীর নিকট আত্মীয় সোহেল আকন, পান্না মিয়া, এবং ইসমাইল তালুকদার ট্রলী চালক সোহগ মুন্সীকে সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গামছা বাহিনীর এই সন্ত্রাসীদলের মারপিঠ ঠেকাতে আসা ওই তিনজনকেও
এলোপাতারী মারধর শুরু করে। তারাও গুরুত্বর ও রক্তাত্ত জখম হয়। পরবর্তীতে তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আহত ৪ জনকে ইজি বাইক যোগে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং
সন্ত্রাসীরা তাদের হত্যার হুমকী দিয়ে বীর দর্পে চলে যায়। তার মধ্যে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগা ইসমাইল তালুকদারকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
প্রেরণ করা হয়। তবে বাকী ২ জন এখন পর্যন্ত শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, এলাকার একাধিক লোকজন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানায়, ওই গামছা বাহিনীর
সন্ত্রাসী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় বিভিন্ন প্রকার অরাজকতাসহ নানবিধ অসামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। এদের প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকীও দেয় বলে তারা জানায়। এছাড়াও ওই বাহিনীর প্রায় সকল সন্ত্রাসীরা একাধিকবার মদ, গাজা, ইয়াবা সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধের দায়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বলে থানা পুলিশ
জানায়। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আবু সাইদ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য এস.আই স্বপন কুমার সরকার ও এ.এস.আই গৌরাঙ্গ বিশ^াস কে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।