২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:০২
শিরোনাম:

নবমবারের দেখায় ভারতকে হারালো বাংলাদেশ

আজকের আগে টি-টোয়েন্টিতে আটবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। প্রত্যেকটা ম্যাচেই হেরে মাঠ ছেড়েছিলো টাইগাররা। জয়ের প্রহর গুণতে গুণতে মোক্ষক সময়ই বেছে নিলো লাল-সবুজের সেনারা। দিল্লির প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে এবং নিজেদের ভঙ্গুর দল নিয়ে ভারতকে হারালো মাহমুদউল্লাহর দল। ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৯ রান ২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পার করে বাংলাদেশ। ফলে ৭ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেলো রাসেল ডমিঙ্গোর দল।

প্রায় দেড়শ রানের লক্ষ্য ছুতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের। যদিও লিটন দাস শুরুতেই ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিষিক্ত নাঈমকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন সৌম্য সরকার। ৪৬ রানের জুটি গড়ে নাঈম ফেরেন ২৬ রানে। তবে মুশফিক ও সৌম্য জুটি যেনো জয়ের পণ নিয়েই নেমেছিলেন। ৬০ রানের জুটি গড়ার পর সৌম্য (৩৯) ফিরে গেলেও মুশফিককে পরাস্ত করতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন মুশফিক। ১৩ বলে ৩৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। ৬০ রানে মুশফিক ও ১০ রানে রিয়াদ অপরাজিত থাকেন।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ১০০০তম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন টাইগার সেনাপতি মাহমুদউল্লাহ। কাল বাংলাদেশের মোহাম্মদ নাঈমের এবং ভারতের শিবম ডুবের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে।

ব্যাটিংয়ে নেমে শফিউলের প্রথম ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রোহিত শর্মা। রিভিউ নিয়েও ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়েই সফলতা পান স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ১৫ রানে আমিনুলের বলে রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লোকেশ রাহুল। ১১তম ওভারে শ্রেয়াস আয়ারকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় সফলতা পান আমিনুল।

পরে ঋষভ প্যান্টের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন শিখর ধাওয়ান (৪১)। মাহমুদউল্লাহর বলে রান নিতে যেয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে আউট হন ধাওয়ান। অভিষিক্ত শিভাম ডুবেকে নিজের বলেই নান্দনিক এক ফিরতি ক্যাচে ফেরান আফিফ। পরে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে সঙ্গী করে ১৮ রানের জুটি গড়েন প্যান্ট। ব্যক্তিগত ২৭ রানে শফিউলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন ঋষভ। ইনিংসের শেষ দশ বলে ২৮ রান নেন ক্রুনাল ও ওয়াশিংটন। বাংলাদেশের হয়ে আমিনুল ও শফিউল ২টি করে এবং আফিফ একটি উইকেট নেন।