১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৩৯
শিরোনাম:

জাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সকালে এ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করেই মিছিল নিয়ে ভিসির পক্ষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে ছাত্র হাতাহাতির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাদের বেশ কয়েকজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রলীগ তাদের তুলে নিয়ে গেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, একই বিভাগের অধ্যাপক মীর্জা তাসলিমা সুলতানা, দর্শন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রায়হান রাইন।

ছাত্রদের মধ্যে আহতরা হলেন, আলিফ (ইংলিশ, ৪৭ ব্যাচ), মারুফ (দর্শন, ৪৪ ব্যাচ), রুদ্রনীনের (দর্শন, ৪৫ ব্যাচ) নাম জানা গেছে। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র ও বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বাসভবন অবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। শতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। পাশাপাশি ভিসিপন্থী প্রায় ৫০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীও ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। অবরোধের সময় থেকে উপাচার্য নিজ বাসাতেই অবস্থান করছেন।

অপরদিকে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন।

এদিকে অবরুদ্ধ উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বাসভবন সূত্রে জানা গেছে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সে জন্য কারো সঙ্গে কথা বলছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান এই প্রতিবেদককে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমনটা আমরা চাই না। আমরা আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করেছি সরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এখানেই অবস্থান করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক শ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে আছি। পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।