২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৩৩
শিরোনাম:

সাকিবের ব্যাপারে ঝুঁকি নিবে না বিসিবি : পাপন

সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মারফত আইসিসি যে সিদ্ধান্ত শুনিয়েছে তার ৩২ নম্বর পয়েন্টে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘কোড অব কন্ডাক্টের ৭.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাকিব আল হাসান কিংবা খোদ আইসিসি কারোরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করার কোন সুযোগ নেই।’ বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার শোনানো এমন সিদ্ধোন্তের ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কমাতে আগ বাড়িয়ে এক পাও এগুতে চাইছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।

কেননা এতে ঝুঁকি আছে। হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা এখানে অত্যন্ত প্রবল। দেখা গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তার ভাল চেয়ে একটি পদক্ষেপ নিল কিন্তু শেষমেষ তা সাকিবের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াল। যেহেতু আইসিসিরি ওই সিদ্ধান্তের একেবারেই শুরুতেই বলা আছে, প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন। আর ভাঙলে পরের বছরও নিষেধাজ্ঞায় কাটাতে হবে।

এমতাবস্থায় আইসিসির সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়াটা সঙ্গত মনে করছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসন-বিসিবি। তবে সাকিব আল হাসান নিজে উদ্যোগী কোন পদক্ষেপ নিলে বিসিবি তার পাশে থাকবে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভ্যর্থনা কক্ষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যম এ কথা জানালেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের যে ইউনিট আছে ওদের যে সেরা আইনজীবী যদি আনতে চায়, এনে যদি কিছু করার থাকে অবশ্যই বোর্ড সেটা করবে। কিন্তু এই জিনিসটা যদি আমরা আগ বাড়িয়ে করতে যাই সমস্যাটা কোথায় বলি, ওর কিন্তু এক বছরের শাস্তি। আর এক বছর হচ্ছে স্থগিত শাস্তি। এমন একটা কিছু করে ফেললাম ওর শাস্তি বেড়ে গেলো। তখন সব দোষ হবে বিসিবির।

আমরা এই ঝুঁকি নিতে রাজি না। কাজেই সাকিবেরটা সাকিবই করছে। বোর্ড এখানে পুরো সহায়তা দেবে। যা যা লাগে সব দেবে। আমাদের দুর্নীতি দমন ইউনিট আছে, ও যাদেরকে চেনে, বাইরে থেকে যদি কোন আইনজীবি আনতে চায়, এখনকার আইনজীবি চায় সব আমরা দেবো। কিন্তু ওর সাথে আলাপ আলোচনা না করে ওর সিদ্ধান্ত না শুনে এটা নিয়ে কিছু করাটা এখন অনেক বড় ঝুঁকি। কিছুদিন যাক দেখা যাক আমরা কী করতে পারি।

উল্লেখ্য, তিন তিনবার ভারতীয় বুকি আগারওয়ালের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন রাখায় সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এর মধ্যে এক বছর তিনি কোন ধরনের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না। আর এক বছরের শাস্তি দোষ স্বীকার করায় স্থগিত থাকবে।

প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবরের পর আবার মাঠে ফেরার সুযোগ পাবেন লাল সবুজের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।