২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:২৭
শিরোনাম:

মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। এবার তার বিরুদ্ধে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুললেন তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত অবতার সিনেমার পরিচালক মাহমুদ হাসান শিকদার। বাংলাট্রিবিউন

মাদকাসক্তির কুফল নিয়ে নির্মিত এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহি। আর সে কারণে গানে ব্যবহৃত পোশাকের জন্য লাখ টাকা নিলেও পুরনো পোশাকে শুটিং করেছেন বলে অভিযোগ করেন নির্মাতা মাহমুদ হাসান শিকদার। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির গানের পোশাকও মডিফাই করে ব্যবহারের করেন তিনি।

সংগৃহীত ড্রেস প্রতি ২৫ হাজার করে একটি গানের জন্য ৭৫ হাজার ও অপর গানের জন্য ৮০ হাজার টাকা নিলেও শুটিংয়ে পুরনো পোশাক পরেছেন মাহি। গানের জন্য সর্বমোট ৮টি পোশাকে গড়ে ২০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন তিনি।

পরিচালক বলেন, শুটিংয়ের আগে মাহি দুটি গানের ড্রেসের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। আমি বললাম, শিল্পী কোন ড্রেস পরবেন তা আমি জানবো না? মাহি বলেন, শুটিংয়ের আগে দেখাবেন। তবে শুটিংয়ের আগে এসে তিনি প্যাকেট খোলা মাত্র একটা ড্রেস দেখিয়েছেন। তার কোন রশিদ নেই। দেখেই মনে হয়েছে পুরনো জামা। এমনকি ছেঁড়া জামা পরেও শুটিং করেছেন তিনি।

এছাড়া, দৃশ্যের জন্য ৩০টি পোশাক ডিজাইন করলেও তা মাহি ব্যবহার না করে প্রডাকশনের টাকায় নিজের মতো করে পোশাক কিনেছেন। যা ফেরত দেননি আর ইউনিটে মাহি থাকতেন প্রায় ১০ জনের টিম নিয়ে। যার খরচ বহন করতে হতো প্রযোজককে।

শুটিংয়ে চুক্তিবাবদ ১০ লাখের বাইরেও এমন আরো অনেক টাকা মাহিকে দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিচালক। তখন প্রতিবাদ না করার কারণ হিসেবে এই নির্মাতা বলেন, কিছু বললেই ইস্যু তৈরি করেন নায়িকা। তাই চেয়েছি ছবির কাজ শেষ করতে। আর ইস্যুর তো শেষ নাই, কিছু হলেই টাকা। উত্তরা থেকে আশুলিয়া তার গাড়িতে গেছেন, এজন্য ৪ হাজার টাকার খরচ। মানিকগঞ্জে যাওয়ার জন্য ৮ হাজার টাকার তেল নাকি লেগেছে।

এদিকে মাহি এখন কক্সবাজারে একটি শোয়ের জন্য অবস্থান করছেন। তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

এদিকে এমন অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী সমিতিসহ ১৮টি চলচ্চিত্র সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে বলা হয়েছে, পোশাকের জন্য কোন শিল্পী আলাদা টাকা নিতে পারবেন না। তাদের পোশাক প্রোডাকশন থেকে তৈরি করে দেয়া হবে।

আর শুটিং শেষে সকল পোশাক শিল্পীকে প্রোডাকশনের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ম চলতি বছর ১ নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে আরও বলা হয়েছে, কোন শিল্পী এক লাখ টাকার ওপরে পারিশ্রমিক নিলে, সে কোনো প্রকার কনভেন্স  পাবে না।