২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:২০
শিরোনাম:

বাংলাদেশিদের আর কেউ ভিক্ষুকের জাতি বলতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে  সাত দিনব্যাপী পিকেএসএফ উন্নয়ন মেলা-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।যমুনা ও সময় টিভি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এ ব্যাপারে, ভূমি ব্যবহার নীতিমালা করছে সরকার। কৃষকদের জন্য কৃষি ঋনের ব্যবস্থা করছি, কৃষকরা যাতে ঋণের জন্য ব্যাংকে না যায়, ব্যাংক যেন কৃষকের কাছে যায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলেছি।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অনেকেই বাহবা কুড়াতে চেয়েছিলেন। তবে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে কেউ কেউ বিশ্বব্যাপী সুনামও করেছিলেন। কিন্তু সেটি শুধু ছিল ব্যক্তিগত অর্জন। মূলত ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্য বিমোচন নয়, দারিদ্র্য লালন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছি। যারা গৃহহারা তাদেরকে ঘর করে দিয়েছি এবং এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মানুষ যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।

তিনি বলেন, প্রতিটি পরিবারকে আমরা দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। ‘আমার বাড়ি আমার খামার’-এর মাধ্যমে যেসব সদস্য ১০০ টাকা জমা করবে সরকার তাদেরকে আরও ১০০ টাকা দিচ্ছে। এইভাবে একটা মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পায় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। এছাড়া ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার। ইতোমধ্যে বেশকিছু জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা শহরের বস্তিতে বসবাস করে তাদের জন্য ঘরে ফেরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

পিকেএসএফের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের উৎপাদিত পণ্যপ্রদর্শনী ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের ১৯০টি স্টল এ মেলায় স্থান পেয়েছে।

নিত্যব্যবহার্য পণ্য থেকে শুরু করে প্রান্তিক ক্ষুদ্র উৎপাদকদের উৎপাদিত বিষমুক্ত কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী, প্রসিদ্ধ ও সমাদৃত হাজারও পণ্যের সমাহার নিয়ে বসেছে এ মেলায়। মেলার নির্বাচিত শিল্পীদের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রতি সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন রয়েছে।