২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৩৮
শিরোনাম:

মাওয়া ফেরীঘাট থেকে নিখোঁজ খাগড়াছড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্য তৌদুজ্জামান

নইন আবু নাঈম, বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ ছুটি নিয়ে বাগেরহাটে ফেরার পথে মাওয়া ফেরী ঘাট থেকে তৌহিদুজ্জামান (৩৫) নামে এক পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। গত ২০ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে কর্মরত তৌহিদুজ্জামান ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে বাগেরহাটের বাসায় আসার পথে ঢাকার মাওয়া ঘাট থেকে নিখোঁজ হন বলে তার স্ত্রী মোসলেমা খাতুন দাবি করেছেন। গত ৪ দিনেও তার সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ও খাগড়াছড়িতে পৃথক দুটি সাধারণ
ডায়েরি করেছে তার পরিবার। তৌহিদুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলা সদরের গোবরদাঁড়ি গ্রামের শেখ শামসুল মাস্টারের ছেলে।

তিনি খাগড়াছড়ি জেলার সদর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি এরআগে বাগেরহাটে প্রায় দশ বছর চাকরি করেছেন। বর্তমানে তার স্ত্রী মোসলেমা খাতুন দুই সন্তানকে নিয়ে বাগেরহাট শহরের পুরাতন পুলিশ লাইনের পাশে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে
এবং মুসফিক জামান হোসাইন নামে আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন বলেন, গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে তৌহিদুজ্জামান বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে তিনি আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করেন। ওই দিন রাত ১১ টা ২০ মিনিটের সময় আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমি এখন মাওয়া ঘাটে।

এই ছিল তার সাথে আমার শেষ কথা। এরপর আর কোন কথা হয়নি। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে। আমি তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছি এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমার স্বামী সাঁতার জানেন, মাওয়া ঘাট থেকে তিনি কেন কিভাবে নিখোঁজ হলেন কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আমার দুটি দুধের বাচ্চা রয়েছে আমি এখন কার কাছে যাব
কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা। আমার স্বামীকে উদ্ধার করতে পুলিশসহ প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, খাগড়াছড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্য তৌহিদুজ্জামান ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে বাগেরহাটের আসার পথে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার পরিবার খাগড়াছড়ি ও বাগেরহাট মডেল থানায় পৃথক দুটি সাধারণ করেছেন। আমরা তার মুঠোফোনের অবস্থান নিশ্চিত হতে কাজ শুরু করেছি।