২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৪৯
শিরোনাম:

শীতকালে অ্যাজমা প্রতিরোধে করণীয় সর্ম্পকে পরামর্শ ডা. মীর্জা নাহিদা হোসেন বন্যার

প্রকৃতিতে একটু একটু করে আসছে শীত। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অসুখ বিসুখও। শীতকালে অ্যাজমা রোগীদের জন্য কষ্ট বৃদ্ধি পায়। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাস নেয়ার কষ্ট তো আছেই, সেই সঙ্গে ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্টার ডা. মীর্জা নাহিদা হোসেন বন্যা বলেন, শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমাকে ‘বংশগত অসুখ’ বললেই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, দূষণের ফলে অ্যালার্জির কারণেও যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে হতে পারেন।

শীতকালে সুস্থ থাকতে শুরুতেই অ্যাজমা রোগীদের সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই অবশ্যই সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। শিশুদেরও নিয়মিত হাত ধুতে উৎসাহিত করুন, এতে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যাবে। এই শীতের শুরুতেই বাইরে ব্যায়াম করার পরিবর্তে ঘরেই ব্যায়ামের চেষ্টা করুন। এতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমে যাবে।

অফিস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে অবশ্যই কান-মাথা ঢেকে বসুন। গায়ে পাতলা চাদর ব্যবহার করুণ। আবার ঘাম হচ্ছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখুন। কারণ, ঘাম বসে ঠান্ডা লাগলেও বিপদ বাড়বে। হাতের কাছে ইনহেলার রাখুন, যখন তখন কাজে আসতে পারে। গরম চা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী। তবে সেক্ষেত্রে দুধ চায়ের পরিবর্তে লিকার চা বা গ্রিন টি খেতে পারেন।

ডাক্তার মীর্জা নাহিদা হোসেন বন্যা বলেন, পশু-পাখির লোমে অ্যালার্জি থাকলে ঋতু পরিবর্তনের সময় পোষা প্রাণীর সঙ্গ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা লাগলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অল্প সরিষার তেল হাতের তালুতে নিয়ে বুকে মাসাজ করলেও কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। ইউক্যালিপটাস তেল অ্যজমা প্রতিরোধে কাজ করে। গরম পানিতে দু’ফোটা এই তেল দিয়ে ভেপার নিলে উপকার পাওয়া যাবে। শীতে আইসক্রিম, ফ্রিজে পাতা দই এড়িয়ে চলুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করুন।