১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:১৪
শিরোনাম:

সত্তরোর্ধ লাল মিয়া’র ভাগ্যে এখনো জোটেনি বয়স্ক ভাতা

উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী):  ডিসেম্বর।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সত্তরোর্ধ লাল মিয়া মৃধার ভাগ্যে এখনো জোটেনি বয়স্ক ভাতা। কোমর সোজা করে দাড়ানোর শক্তি নেই তার। বয়সের ভারে নুয়ে সে। বেশি দুর পর্যন্তু হাটতেও পারেননা তিনি। ভিক্ষা করে যে টাকা পায় তা দিয়ে কোন রকম জোগাড় হয় দুবেলার খাবার। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের
ছোনখোলা গ্রামের বৃদ্ধ এ লোকটির এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বেশ ভালই কাটছিল তার সংসার। মেয়েদের বিয়ে দেয়ার পর অনেকটা নি:স্ব হয়ে পড়েন তিনি। বয়সের ভারে বন্ধ হয়ে যায় আয় রোজগার। ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর স্ত্রীও তাকে ফেলে চলে যায়। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে বেচে নেয় ভিক্ষাবৃত্তি। বয়স্ক ভাতার জন্য স্থানীয়
ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না দিয়েছে আনেক বার। তার পরেও তার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্কভাতা।

লাল মিয়া জানান, আয় রোজগার বন্ধ হওয়ার পর পরিবারের সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। বয়স্ক ভাতার জন্য চেয়্যারমানের কাছে গিয়েছিলাম। কয়েকবার মেম্বরের বাড়ি পর্যন্ত গেছি। তারা শুধুই বলে হবে। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.শওকত হোসেন বিশ্বাস তপন জানান, এলাকার সকল বৃদ্ধ মানুষের নামের তালিকা করে উপজেলা সমাজ সেবা
আফিসে পাঠানো হয়েছে। আর লাল মিয়ার নাম ওই তালিকায় রয়েছে। আশা করছি সে বয়স্ক ভাতায় অন্তর্ভুক্ত হবে। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার দায়িত্ব ইউনিয়ন কমিটির। ইউনিয়ন কমিটি লাল মিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।