২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৫৫
শিরোনাম:

নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

এসএ গেমসের ১৩তম আসরের ক্রিকেট ইভেন্টে কাগজে-কলমে অন্য দলগুলোর চেয়ে যোজন-যোজন এগিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। টাইগার যুবারা বারবার নিজেদের সেরা হওয়ারই প্রমাণ দিচ্ছে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের খাবি খাইয়ে দিয়ে। এসএ গেমসে নেপালকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেলো বাংলাদেশের ছেলেরা। এই জয়ের মাধ্যমে ফাইনালের টিকিট কেটে নিলেন সৌম্য-শান্তরা।

বাংলাদেশের দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই ধাক্কা খায় নেপাল। দলীয় ১৪ রানের মাথায়ই সাজঘরে ফিরে নেপালের তিন ব্যাটসম্যান। শুরুর এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি নেপাল। শেষ অবধি তারা ১১১ রান করতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মাল্লা।

বাংলাদেশের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নেন সুমন খান, তানভীর ইসলাম, সৌম্য সরকার এবং মেহেদী হাসান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব’র দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৫ রান।

শুরুতেই নেপালের দাপুটে অলরাউন্ডার পরশ খাড়কার বোলিং নৈপুণ্যে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় সাত রানেই ওপেনার নাঈম শেখকে ফেরান তিনি। এরপর সৌম্যকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক শান্ত।

কিন্তু মাত্র ৬ রানে সৌম্যের বিদায়ের পর আরো চাপে পড়ে টাইগাররা। মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে আসে শূন্য রানে সাইফ হাসানের বিদায়। পরে আফিফকে নিয়ে শান্তর জুটি টাইগারদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। সাজঘরে ফেরার আগে ৬০ বলে ৭৫ রান করেন শান্ত। আর মাত্র ২৮ বলে ৫২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন আফিফ।

বল হতে নেপালের পরশ খড়কা একাই তুলে নেন ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৫৫/৬ (২০) শান্ত ৭৫, আফিফ ৫২; পরশ ১৫/৩।
নেপাল: ১১১/৯ (২০) মাল্লা ৪৩।

বাংলাদেশ ৪৪ রানে জয়ী।