খেই করোনার বাস। তাই, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে প্রায় সব প্রাইভেট চেম্বারই বন্ধ রেখেছেন দাঁতের চিকিৎসকরা। এতে অসংখ্য রোগী চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব জানান, প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকলেও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সীমিত আকারে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা।
দেশে বারো হাজারের অধিক অনুমোদিত দন্ত চিকিৎসক রয়েছেন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাদের প্রায় সবাই দন্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া বন্ধ রেখেছেন।
করোনা সংক্রমণে মুখই প্রধান বাহক। করোনার জীবাণু শরীরে ঢুকে তা গলায় ও লালাগ্রন্থিতে বাসা বাঁধে। আর, দাঁতের চিকিৎসায় চিকিৎসককে রোগীর মুখের কাছে যেতে হয়। যদি রোগীর শরীরে করোনা ঢুকে পড়ে তাহলে তার দাঁতের চিকিৎসা করতে গেলে চিকিৎসকও সংক্রমিত হতে পারেন। এই কারণেই অধিকাংশ ডেন্টাল সার্জন চেম্বারে রোগী দেখছেন না।
দন্ত চিকিৎসক মো. আসাফুজ্জোহা রাজ বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবেই জানানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় না হলে রোগীদের চেম্বারে না আসতে।
এ ক্ষেত্রে হাতেগোনা কয়েকটি চেম্বারে অল্প কিছু রোগী দেখা হলেও আগে ফোন করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাবতীয় তথ্য জেনে তবেই দেয়া হচ্ছে সেবা।
এতে, দাঁতের অসহ্য ব্যথা, আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণা, মুখের মাড়ি ও চোয়াল ফুলে যাওয়া এবং দাঁতের মাঝে গভীর ক্ষতসহ এমন রোগীরা পড়েছেন ভয়াবহ ভোগান্তিতে।
বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব জানান, দাঁতের রুট ক্যানেল, ফিলিং এবং স্ক্যালিং করানোর ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের অধিক ঝুঁকি থাকায় এই সেবাগুলো পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর বুলবুল বলেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা অব্যাহত থাকলে প্রাইভেট জায়গায় বন্ধ রয়েছে।
দাঁতের চিকিৎসায় রোগী, চিকিৎসক উভয়েরই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত দাঁতের যথাযথ পরিচর্যার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।