২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:৩৭
শিরোনাম:

খাদ্যভাতাসহ ১১ দাবিতে কার্গো নৌ-শ্রমিক ধর্মঘট চলছে

বিআইডব্লিউটিএ’র সূত্র বলছে, সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত নৌযান শ্রমিক ও নৌযান মালিকদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু ১১ দফার বেশ কয়েকটি দফা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয় আলোচনা। বিশেষ করে খাদ্য ভাতা। ভারত যাবার সময় খাদ্য ভাতা মালিকরা মেনে নিলেও দেশের ভেতরে খাদ্যভাতা দিতে রাজি হয়নি মালিকপক্ষ।

নৌযান মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ বাকবিতণ্ডা ঘটনাও ঘটেছে। ১১ দফার মধ্যে ৭ দফা মেনে নিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে খাদ্য ভাতা নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। সেই হিসেবে মালিকপক্ষ বলেছে, খাদ্য ভাতার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিতে হবে। একটি কমিটি গঠন করে দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নৌযান মালিকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এসপি মাহবুব ও বদিউদজ্জামান বাদলসহ পুরো কমিটি। আর নৌযান শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন শাহ আলম ও চৌধুরী, আশিকুল আলমসহ পুরো শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিএর, নৌপুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিতি ছিলেন বলে জানা গেছে।

কিন্তু এই বক্তব্যে রাজি হয়নি শ্রমিক পক্ষ। তাদের দাবি ছিলো এখনই মেনে নিতে হবে খাদ্য ভাতার বিষয়টি। দুই পক্ষের এই মতোবিরোধের কারণে অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয় বৈঠক।

সদরঘাট নৌবন্দরের পরিচালক আলমগীর কবীর বলেন, সোমবার রাত ১২টার পর এবং মঙ্গলবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে কোনো সমস্যা নেই। লঞ্চ শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন না।

রফ রফ লঞ্চের ম্যানেজার ফরিদ আহমেদ বলেন, আমাদের সব ধরনের লঞ্জ চলাচল করছে। মূলত এই ধর্মঘট কার্গো নৌযান শ্রমিকদের। ভূল বোঝার কোনো সুযোগ নেই। সব লাইনের লঞ্চই চলছে। যাত্রীরা আসলে তারা বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারবেন।