২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৩০
শিরোনাম:

হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয় নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটির ডান হাত ও মুখাবয়ব (ভিডিও)

শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দুইটা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দুই যুবক হেঁটে আসছেন কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের দিকে। ২টা ১৬ মিনিটে মই বেয়ে উপরে ওঠেন তারা। হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয় নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটির ডান হাত ও মুখাবয়ব। তারপর মই বেয়ে নেমে চলে যান ওই দুই যুবক।

তিনি বলেন, চারজন আমাদের হেফাজতে আছে। আমরা আশা করি এই চারজনের কাছে যথেষ্ট তথ্য পাবো।

সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান

এদিকে, দুপুরে সচিবালয়ে ভাস্কর্য ইস্যুতে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জানান, এ ঘটনায় উস্কানিদাতাদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে।

ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে দুইজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা শহরের জুগিয়া ইবনে মাসউদ মাদরাসা থেকে বেরিয়ে এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এদের একজনের নাম আবু বকর, আরেকজনের নাম নাহিদ। তারা দুজনই ওই মাদ্রাসার ছাত্র।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভা চত্বরে পৌরকর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করেছিল। ভিডিও ফুটেজ থেকে জানা যায়, দু’জন মাদরাসা ছাত্র গভীর রাতে হাতুড়ি দিয়ে ভাস্কর্যটি ভেঙেছে।

মন্ত্রী জানান, পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই মাদরাসার দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তাদের নাম আলামিন ও ইউসুফ।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উস্কানি দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে বের করে নিয়ে আসা কারো কাম্য নয়। এটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, একজনের বক্তৃতা বা নির্দেশে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। অনুসন্ধানের পর তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেন মন্ত্রী। সাংবাদিকরা ইন্ধনদাতা বা নির্দেশদাতার নাম জানতে চাইলে, তদন্ত চলছে জানিয়ে এ মুহূর্তে তার নাম বলা সম্ভব নয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বাড়তি সদস্য।