১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৩৭
শিরোনাম:

কানপাকা ভয়ংকর রোগ, হতে পারে মৃত্যুও (ভিডিও)

ধরে নেয়া হয় প্রতি ১০০ জনে ৬ জন শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন। যাদের ৬০ শতাংশই আবার কানের পর্দা ছিদ্র ও কান পাকা রোগে আক্রান্ত। অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে এদের অধিকাংশই বধিরতাসহ নানা জটিলতার শিকার হচ্ছেন।

তবে কান পাকা রোগে বড়দের চেয়ে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের দুই মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কানের সমস্যা নিয়ে আসা এক হাজার রোগীর ৪০ জন কান পাকা রোগে আক্রান্ত। যাদের অধিকাংশের বয়স ছয় মাসের নিচে।

শোয়ানো অবস্থায় মায়ের বুকের দুধ ও তরল খাবার খাওয়ানোই এর অন্যতম কারণ।

নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার বলেন, কেউ যদি কানে কম শোনে তাহলে সে পরিষ্কার ভাষায় কথা বলতে পারবে না। সে স্কুল করতে পারবে না।

পুকুর, নদী কিংবা ঝরনায় গোসল করতে গিয়ে অনেকে কান পাকা রোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ, আচমকা কানে আঘাত ও কানের পর্দা ছিড়ে গিলে কেবল তারাই পানির সংস্পর্শে এসে কান পাকা রোগে আক্রান্ত হন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, বারবার কান পাকার ফলে অনেক সময় কানের পুঁজটা বাইরে না এসে আমাদের মস্তিষ্কে ঢুকে। এতে আমাদের ব্রেইন ইনফেকশন হয়। এরকম অবস্থায় রোগীর সার্জারি করলে রোগী মারাও যায়।

কানের সমস্যার জন্য কারণে-অকারণে কটনবাটকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। কানের সুরক্ষায় কটনবাট ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের পাশাপাশি হাটে বাজারে খোলা জায়গায় কানের ময়লা পরিষ্কার বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজন হলে সরাসরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু হানিফ বলেন, আমার যখন খাই তখন আমাদের চোয়াল মুভমেন্টের কারণে কানের ছিদ্র দিয়ে ময়লাগুলো বের হয়ে আসে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু যখন আমরা কানে কটনবাট ব্যবহার করি তখন এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটা উল্টে যায়। তখন মৃত টিস্যুগুলো কানের ভেতর ঢুকে, স্তূপ হয়। তখন কান চুলকায়, আমরা শুনতে পাই না, ইনফেকশন হয়।

সেখানকার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, কানের ইনফেকশন হলে প্রথম দিকে যদি চিকিৎসা করানো হয় তাহলে কান পাকা প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু কানের ভেতর কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা না জেনে যদি কেউ চিকিৎসা করে তাহলে সেটার ফল ভালো হবে না।