২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৩২
শিরোনাম:

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফিরেছেন মুস্তাফিজ ও নুরুল।

আগের ম্যাচটিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেওয়া শরিফুল ইসলামকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আর আঙুলের চোটে এ ম্যাচটি খেলতে পারছেন না অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

টাইগারদের একাদশ:
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য টাইগারদের। সঙ্গে সুপার লিগের পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট নিতে মরিয়া বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচ সিরিজের আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও ২০২৩ বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। তামিম চোট নিয়ে খেলছেন। কারণ সুপার লিগের পয়েন্টের বিষয়টা আছে এখানে।
বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে।

ফরম্যাট যাই হোক, গেলো ক’বছরে ফলাফলে হেরফের হয়েছে খুব কম। সিংহভাগ ম্যাচেই জয়ী বাংলাদেশ। আর ওয়ানডেতে দু’দলের ব্যবধান আরও স্পষ্ট। টানা ১৮ ম্যাচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছে টিম টাইগার্স। অপেক্ষা এখন আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের জয়ের হাফ সেঞ্চুরি পূরণের।

প্রথম ওয়ানডেতে জয়টা অনায়াসে ধরা দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের লড়াকু মানসিকতা দাবি রাখে প্রশংসার। সাকিবের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ধরা দেয় জয়। শেষদিকে সাইফউদ্দিনও দিয়েছেন সাপোর্ট। তবে সিরিজ জয় নিশ্চিত বলেই প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখছে না বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডেতে লক্ষ্যটা পরিষ্কার।

এ প্রসঙ্গে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন জানান, জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। ওরা ঘরের মাটিতে খেলছে, আর ঘরের মাঠে সবাই শক্তিশালী। এজন্য আমরা বেশি ফোকাস দিয়ে খেলছি। যদিও কাজটা সহজ না। কিন্তু আমরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা যদি প্রসেসটা ঠিক রাখতে পারি, তাহলে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা থাকবে।

সিরিজে এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের জন্য প্রাপ্তির কিছুই নেই। যদিও তারা প্রাণপণ চেষ্টা করবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে। কারণ নিজেদের মাটিতে সিরিজ হারলেও, টাইগারদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় লজ্জা কখনো পেতে হয়নি জিম্বাবুয়েকে।