২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৪৬
শিরোনাম:

বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং : চারজন আজীবন নিষিদ্ধ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চারজনকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এ তথ্য জানায়।

বিপিএলের মাঝামাঝি সময়ে আরামবাগের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে বাফুফে ও এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে (মিনহাজুল ইসলাম, গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, মাইদুল ইসলাম শেখ {ভারতীয়}, আরিফ হোসেন) আজীবন নিষিদ্ধ এবং আরামবাগ ক্লাবকে দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগ ফুটবলে অবনমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

প্রিমিয়ার লিগে আরামবাগ বাংলাদেশ ইতিমধ্যে রেলিগেশনে পড়েছে। রেলিগেটেড হয়ে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার কথা ছিল তাদের। কিন্তু বেটিং শাস্তির জন্য তাদেরকে আরও এক ধাপ নিচে নামিয়েছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। সিনিয়র ডিভিশন লিগে (প্রথম বিভাগ) খেলতে হবে দুই বছর আরামবাগকে। সিনিয়র ডিভিশন লিগে আরামবাগ চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদেরকে দুই বছর কাটাতে হবে সিনিয়র ডিভিশনে। শাস্তির প্রথম বছর সিনিয়র ডিভিশন লিগ থেকে অবনমিত হলে অবশ্য দ্বিতীয় বিভাগে চলে যাবে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

একই ক্লাবের ভারতীয় কোচিং স্টাফদেরকে ১০ বছর করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা হলেন, ফিজিও সঞ্জয় বোস এবং সহকারী আজিজুল শেখ। এছাড়া তাদের সাবেক খেলোয়াড় আপেল মাহমুদ নিষিদ্ধ হয়েছেন পাঁচ বছরের জন্য। তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন আরামবাগের সাবেক খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান। দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাবেক নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় চিজোবা। ওমর ফারুক, রকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মেরাজ মোল্লাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।