২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:১৯
শিরোনাম:

‍‘হাই প্রোফাইল নয়, আমাদের প্রয়োজন বাংলাদেশের কোচ’

সাম্প্রতিক সময়ে তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া ও মুশফিকুর রহিমের টি-টোয়েন্টির গ্লাভস তুলে রাখা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে ধুইয়ে দিচ্ছে সবাই। এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের অভিমত তুলে ধরেন তিনি।

মাশরাফী লিখেছেন, ‘একটা কোচ যখন নিয়োগ দেওয়া হয় তার প্রসেস আসলে কি থাকে সেটা জানার খুব ইচ্ছা আমার। এ যাবৎ কালে প্রায় ৯/১০ জন কোচের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি যতটুকু দেখেছি প্রত্যেকটা কোচ তার নিজের মতো করে কাজ শুরু করে, যেটা করাটাও স্বাভাবিক। কারণ এক এক জনের কাজের ধরন এক এক রকম।’

‘কিন্তু সবসময় দেখেছি প্রত্যেকটি কোচ তার নিজস্ব একজন বা দুজন প্রিয় খেলোয়াড় বানিয়ে নেয়, যা পরে সিলেক্টর, ক্যাপ্টেন বা অন্য কেউ তাকে আর কিছুই বুঝাতে পারে না বরং সম্পর্কগুলো জটিল হতে থাকে। আর ওই পছন্দের জন্য সে আবার দুজনকে এমন অপছন্দ করা শুরু করে যে তাদের আর দেখতেই পারে না। একপর্যায়ে এমন জিদ শুরু করে যে প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দিব, এমন কথা প্রকাশ্যেও শুনেছি কয়েকবার কোচের মুখে’, যোগ করেন এই ক্রিকেটার।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার পয়েন্টটা হলো যে কোচের পছন্দ নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড় হতেই পারে সেটা সব কোচেরই হয়, অন্যান্য দেশেও হয় এটাই স্বাভাবিক। তবে কখন ও সেটা প্রকাশ্যে বুঝতে দেয় না, অনুমান করতে হয়। কারণ দলের সেরা ৩/৪ জন খেলোয়াড়ই শুধু ম্যাচ জেতায় না। আর জেতালেও আপনি একজনের জন্য আরেকজনকে ছোট করতে পারেন না। দর্শক বা সাংবাদিক অনেক কিছু লিখতে পারে, বলতেও পারে যেটা একদম নরমাল ব্যাপার।’

মাশরাফীর মতে, ‘কোচকে বলা হয় (ফাদার অফ দ্য সাইড) সে সবাইকে দেখে রাখবে, প্রয়োজনে কঠোর হবে আবার দলের স্বার্থে যাকে প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করবে। তার সব কিছুই হতে হবে পজিটিভ। কারও প্রতি কঠোর, কারও প্রতি নমনীয় এটা এক রকমের বৈষম্যতে রূপ নেয় আমাদের দেশে। যা গোছানো দলকে অগোছালো করে ফেলে।’

‘একপর্যায়ে তারা আবার নিজেদের দেশে, না হলে আইপিএল বা আরও ভালো কোন অফার পেয়ে চলে যাবে। কারণ এত দিনে সে আমাদের দেশের ক্রিকেটকে নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে নিজের প্রোফাইল ও ভারি করেছে মাঝখান দিয়ে। আর বেতন তো নিয়েছে মাসে ১২/১৫ লাখ টাকা আর আমাদের কোচগুলো না খেয়ে মরে’, যুক্ত করেন মাশরাফী।

শেষের দিকে তিনি আরও লিখেছেন, ‘কোনো কোচই আমাদের দেশে কাজ করার আগে আমাদের দেশের ক্রিকেট ফলোয়ার না। চাকরির জন্য আসে শেষ হলে চলে যায়। তাই আমার মনে হয়, হাই প্রোফাইল নয়, আমাদের প্রয়োজন আমাদের কোচ, বাংলাদেশের কোচ। একদম নিজস্ব মতামত আপনাকে মানতে হবে তা বলিনি।’