১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:০৪
শিরোনাম:

বোট ক্লাবে ঘটনার তথ্য-প্রমাণে পরীমণিকে ‘নির্দোষ’ বলছে পুলিশ

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামলাটি তদন্তকালে প্রতীয়মান হয়েছে, ৩ লিটারের বøæ-লেভেলের দাম তুহিন সিদ্দিকি না দিয়ে ‘কৌশলে’ নাসির উদ্দিনকে দিয়ে ক্লাবের স্যাম্পল বলানোয়, সেগুলো নিতে আরও বেশি আগ্রহী হন পরীমণি। এ নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে আসামিরা পরীমণিকে মারধর করে শরীরে জখম করেন এবং হুমকি-ধমকি দেন। নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম পরীমণির সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করা ও তার শরীরে স্পর্শ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার বিষয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ। আর তাদের সহযোগিতা করায় তুহিন সিদ্দিকি অমি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩০ ধারায় অপরাধ করেছেন।

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ক্লাবের কর্মচারীরা পরীমণিকে ক্লাব থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি সেখানে বসে থাকেন। তারা কিছু লাইট, এসি ও ফ্যান বন্ধ করে দেন। এ কারণে পরীমণির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ফের এসি, ফ্যান ও লাইট চালু করা হয়। রাত ২টার দিকে বোট ক্লাবের এক প্রহরীর সহায়তায় জিমি পরীমণিকে গাড়িতে তোলেন।

সেই রাতে কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত বর্ণনাও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। গত সোমবার (৬ আগস্ট) আদালতে জমা দেওয়া এই অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ১২ জনকে। যার মধ্যে পরীমণির খালাতো বোন ফাতেমাতুজ জান্নাত বন্নি, সহযোগী জুনায়েদ বাগদাদী জিমি, আশরাফুল ইসলামসহ ঢাকা বোট ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

ঢাকার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার সোমবার (৬ আগস্ট) বলেন, আমরা যা তদন্তে পেয়েছি, তা-ই প্রতিবেদন হিসেবে আদালতে জমা দিয়েছে।

চলতি বছরের ১৪ জুন সাভার থানায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বন্ধু তুহিন সিদ্দিকি অমিসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন পরীমণি। মামলার এজাহারে পরীমণি অভিযোগ করেন, অমির কথামতো ৮ জুন বোটক্লাবে যান তারা। এ সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেট ব্যবহারের পর ফেরার সময় নাসির উদ্দিন মাহমুদ জোর করে মদ খাওয়ান। মদ খেতে না চাইলে মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একইসঙ্গে নাসির উদ্দিন মাহমুদ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থান স্পর্শ করেন এবং তাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।