২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৫৫
শিরোনাম:

অস্ট্রেলিয়ায় বসে জাল ভিসা চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে রোজী: সিআইডি

অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী নাগরিকত্ব বা জাল ভিসা প্রদানকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ চক্রের মূলহোতা উম্মে ফাতেমা রোজী অস্ট্রেলিয়া থেকে পুরো চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামপুরা থানার বনশ্রী এবং শাজাহানপুর থানা এলাকা থেকে চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডির সংবাদ সম্মেলন

ইমাম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মূল হোতা উম্মে ফাতেমা রোজী। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। রোজী দেশে থাকাকালে এম এ বি এম খায়রুল ইসলামকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। রোজী অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশনের কনস্যুলার জেনারেল হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দেয়। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত এবং ছবি খায়রুল পাঠান। এছাড়া নিজ অ্যাকাউন্টে ৮ হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার রয়েছে মর্মে জাল ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট খায়রুলের ইমেইলে পাঠান। রোজী অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনের সাথে সু-সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে মর্মে জানান। খায়রুলকে অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী ভিসার ব্যাবস্থা করে দেবেন বলে প্রলোভন দেখান। খায়রুল রোজীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে নিজেসহ তার পরিবারে আরও ৮ সদস্যকে অস্টেলিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করলে রোজীকে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্য ৫৫,৩৭,৬০০ টাকা প্রেরণ করতে বলে। খায়রুল পাঠিয়েও দেন।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুজন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান অ্যাম্বাসির নিযুক্ত। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসির লোগোসহ ভিসা সংক্রান্ত সব ধরনের কাগজপত্র অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকারী রোজীকে পাঠায়। প্রতারণার কৌশল বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী খায়রুল এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ান জাল ভিসা প্রস্তুত করে নিরিহ লোকজনদের অস্ট্রেলিয়াতে পাঠানোর নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।