২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:০১
শিরোনাম:

স্মৃতিসৌধে জাবি ছাত্রকে মারধর, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে গিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের মারধরের শিকার হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের (চতুর্থ বর্ষ) শিক্ষার্থী নুর হোসাইন।

এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আধা ঘণ্টার মতো মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়।

এর আগে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। পাশাপাশি আহত নুরের চিকিৎসা ব্যয় স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলেও দাবি জানান তারা।

জানা গেছে, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নুর হোসেনকে কয়েকজন আনসার সদস্য ব্যাপক মারধর করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।এ বিষয়ে নুর হোসেন বলেন, ‘আমি সোমবার বিকেলে আমার দুজন ভাগনেসহ স্মৃতিসৌধ ঘুরতে যাই। সেখানে অনেককে অর্থের বিনিময়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল ডিউটিরত আনসার সদস্যরা। আমি এটার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে একটি রুমে নিয়ে আটকে রাখে। পরে সাত থোক আটজন আনসার সদস্য বেদম মারপিট করে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। গলা, ঠোঁট, তলপেট এমনকি মাথাতেও আঘাত করে। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত লাঠি দিয়ে পা থেঁতলিয়ে দিয়েছে।

মারধরের ঘটনাটি নিশ্চিত করেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্তব্যরত গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।

ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আনসার সদস্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চারজন আনসার সদস্য তাকে মারধর করে। পরে আমি সেখানে উপস্থিত হই। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ আসলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।