২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:১৮
শিরোনাম:

২০০ নারীর স্পর্শকাতর ছবি-ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেইল

ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার রাজধানীর নিউমার্কেট থানার এ্যালিফেন্ট রোড থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মনির খান ওরফে হারুন ওরফে অনুপ পোদ্দার (৪১)। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। র‍্যাব-৪ এর অপারেশন অফিসার মো. জিয়াউর রহমান খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার র‌্যাব-৪ এর সাইবার সেলের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর নিউমার্কেট থানার এ্যালিফেন্ট রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগে মনির খানকে আটক করা হয়।

আসামির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, আটক হওয়া আসামির প্রকৃত নাম অনুপ পোদ্দার। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও বেসরকারি চাকরিজীবী। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের আড়ালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপত্নীক হিসেবে মুসলিম পরিচয়ে, ভুয়া ঠিকানা ও অন্যের ছবি ব্যবহার করে ‘মনির খান ও হারুন’নামে ফেক আইডি খুলেন। এরপর বিভিন্ন পাত্র/পাত্রী চাই, ম্যারেজ মিডিয়ার ফেসবুক গ্রুপ থেকে স্বামী পরিত্যক্তা বা তালাকপ্রাপ্ত মেয়েদের টার্গেট করেন।

এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্কের গভীরতার একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখান। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘনিষ্ঠতার একপর্যায়ে তাদের ইমোশনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও গোপনে ধারণ করে শুরু করেন ব্ল্যাকমেইল।

র‍্যাব জানায়, প্রথম পর্যায়ে তিনি নারীদের বিভিন্ন হোটেলে দেখা করার কথা বলেন এবং অবৈধ বা অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে গোপনে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫-৬ লাখ টাকা দাবি করতেন। এদিকে সমাজে লোকচক্ষুর ভয়ে বাধ্য হয়ে অনেকেই তার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন এবং কেউ কেউ অল্প টাকা দিয়ে রেহাই পেয়েছেন বলেও র‌্যাব জানায়।

র‍্যাব আরও জানায়, গোপনে ধারণকৃত নারীদের স্পর্শকাতর ভিডিও ও ছবি এবং বিভিন্ন পর্নোভিডিও তার দ্বারা পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গোপন গ্রুপে পোস্ট ও শেয়ার করতেন। এ ছাড়া ২০০ এর অধিক ভুক্তভোগী নারীর ছবি ও ভিডিও সম্বলিত তার মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।