২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৫৪
শিরোনাম:

প্রবাসীর ১০ লাখ টাকা আত্মসাতে ছিনতাইয়ের নাটক, যা ঘটল

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক বন্ধুর ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্য ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ফেঁসে গেছেন মনির হোসেন মুন্না নামে এক যুবক। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাকে রাজধানীর পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। মুন্নার দেওয়া তথ্যমতে রাতেই তার ভাইয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় পুরো টাকা।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ফকরুল আলম রিয়ার ভাই ভুক্তভোগী মো. দিদারুল আলম মজুমদার। পরে আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত মুন্নাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারিক উর রহমান শুভ দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘দিদারুল আলমের ছোট ভাই রিয়া অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। রিয়া তার বন্ধু মোজাম্মেল হোসেন জনির কাছে ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকা ফেরত চাইলে মোজাম্মেল হোসেন টাকা নেওয়ার জন্য রিয়াকে লোক পাঠাতে বলেন। রিয়া বিষয়টি জানান তার বড় ভাই দিদারুল আলমকে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফোন করে বন্ধু মনির হোসেন মুন্নাকে মোজাম্মেলের বাসায় গিয়ে তার কাছ থেকে পাওনা টাকার একটি চেক আনার জন্য অনুরোধ করেন।’

তারিক উর রহমান শুভ আরও বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চেক সংগ্রহ করে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মোজাম্মেল হোসেনকে ফোন করে মুন্না জানান, পল্লবীর ব্রাক ব্যাংক শাখা থেকে ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে ফেরার সময় পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের সি-ব্লকে মিল্কভিটা মার্কেটের পেছনের রাস্তায় অচেনা ৪/৫ জন ছিনতাইকারী পিস্তল ঠেকিয়ে পুরো টাকা নিয়ে গেছে।’

মোজ্জাম্মেল ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পেরে রিয়ার কাছে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং মুন্নাকে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। মুন্না থানায় গিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালে এসআই শুভসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়াও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মুন্না নিজেই টাকা আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করেন। তার তথ্যমতে রাত ১১টার দিকে পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের সি-ব্লকস্থ ২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাসার নিচতলায় মুন্নার বড় ভাইয়ের কক্ষ থেকে পুরো টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলে গ্রেপ্তার দেখানো হয় মুন্নাকে।