২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:১৪
শিরোনাম:

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিন্দ্য। ডিবিসি টিভি ও সময় টিভি

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে কয়েকজন ভুক্তভোগী সশরীরে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে আরিফ বাকের (৪১) নামে এক ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। ভুক্তভোগীরা জানায়, তাদের একজন ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, একজন ৯ লাখ টাকা এবং আরেকজন ৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ে তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, একজন ভুক্তভোগী ইভ্যালির এমডি রাসেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ নিয়ে আমাদের থানায় আসেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অফিস ধানমন্ডি থানা এলাকায় হওয়ায় ভুক্তভোগী নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মামলাটি কোথায় করবেন। যেহেতু অফিসটি ধানমন্ডিতে নিয়ম অনুযায়ী সেখানেই মামলাটি হওয়ার কথা। তবে ভুক্তভোগীর বাসা গুলশান এলাকায় হওয়ায় তিনি আমাদের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ করতে এসেছিলেন। তার কাছ থেকে অভিযোগের একটি কপি আমরা রেখে দিয়েছি এবং তাকে আমরা বলেছি আগামীকাল সকালে থানায় আসতে; তখন সিনিয়র অফিসাররা থাকবেন এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। বেশি রাত হওয়ায় ভুক্তভোগীরা এখন বাসায় চলে যাচ্ছেন। এছাড়া ভুক্তভোগীরা থানায় অবস্থান করছেন।

ভুক্তভোগীদের একজন আরিফ বাকের বলেন, আমি গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেছিলাম। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাইনি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে। আমার মতো অনেকের একই অবস্থা। তাই আমি থানায় ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করতে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছি। তবে থানা এখনও তা অফিসিয়ালি নেয়নি। থানা থেকে বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের বিষয়ে জানানো হবে। আমি এখনও থানায় রয়েছি।image

গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ই-ভ্যালিসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আর দায়িত্ব নেবে না বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন থেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, গত ২৫ আগস্ট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব চেয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছিল।

গত বছরের আগস্টে বিএফআইইউ নাসরিন ও রাসেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়।