১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪৮
শিরোনাম:

উপাচার্যদের নিরাপত্তা ইস্যু: বসছে সিসি ক্যামেরা, বাড়ছে গোয়েন্দা নজরদারি

দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। এরপরই দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে চাপ তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর ওপর। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি বারবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের সিদ্ধান্ত বললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকিয়ে ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার দিকে।

তবে সবশেষ শিক্ষামন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বরের পর একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারে- এমনটা জানিয়ে দিলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍উপাচার্যরা এবার সামনে আনলেন বিভিন্ন সমস্যা এবং নিরাপত্তার ইস্যু। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকও করেছেন তারা।

যেখানে সংকট এবং যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশেষ নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও চলাচলের স্বাধীনতা রেখে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের কড়া নজরদারি থাকবে।

এমনকি, ক্যাম্পাসগুলোতে ‘নৈরাজ্য’ ও ‘জঙ্গিবাদ প্রচার’ হওয়ার আশঙ্কা সংক্রান্ত কোনো তথ্য আছে কি না জানতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। পুনরায় চালু হওয়ার পর যেন কোনো ধরনের ‘অরাজক পরিস্থিতি’ তৈরি না হয়, সেজন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় ওই চিঠিতে।

একইসঙ্গে বলা হয়, যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি-না, সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য ইউজিসিকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এক বৈঠক নেওয়া সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয় গত ৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে এসব তথ্য সংগ্রহের জন্য এই চিঠি পাঠায়।

সার্বিক বিষয়ে ইউজিসির অতিরিক্ত সচিব ড. ফেরদৌস জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পাঠদান করা হবে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়, সে বিষয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে কোনো ধরনের আন্দোলন ও সংকট সৃষ্টি হোক। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে গত সপ্তাহের শেষদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’