২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:০৭
শিরোনাম:

আগামী জাতীয় নির্বাচনে জন্য সিইসি নূরুল হুদার মতো আজ্ঞাবহ লোক খুঁজছে সরকার: রিজভী

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সরকারের মন্ত্রীদের কথা শুনলে বোঝা যায়, তারা আবারও বিনা ভোটের ও রাতের নির্বাচন করতে সিইসি নূরুল হুদার মতো আজ্ঞাবহ লোক খুঁজছে।

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয়–নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী। এ জন্য দেশের সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে রাজপথে নেমে আসতে আহ্বান জানান রিজভী।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কাছাকাছি আসায় সরকার সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব তলব করে ভয় দেখাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওযা এক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আইনই যেখানে নেই সেখানে আইন দিয়ে কি করবেন? এতে আপনাদের উদ্দেশ্যটা বোঝা যায়।

কেএম নূরুল হুদা অত্যান্ত জরুরি আপনাদের কাছে। কারণ নিশিরাতে নির্বাচন জায়েয করবে কে? প্রতিদ্বন্দ্বী হীন নির্বাচন জায়েজ করবে কে? এখন স্বতন্ত্র কেউ ও নির্বাচন করতে চায় না। তারা যানে যে নির্বাচনের দিন শেষে সরকারি দলের যে থাকবে তাকে নির্বাচিত করা হবে। সভায় ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির জাতীয় ঐক্য ফন্টে অধীনে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজিয়া আলম, আবদুর রহিম, সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।