২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৪৯
শিরোনাম:

মধ্যরাতে বাথরুমের দেয়াল ভেঙে অসুস্থ গৃহবধূকে হাসপাতালে নিলো পুলিশ

মধ্যরাতে বাথরুমের দেয়াল ভেঙে অসুস্থ গৃহবধূকে হাসপাতালে নেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর জে সি গুহ রোড এলাকা থেকে অসুস্থ ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অসুস্থ গৃহবধূর নাম সোমা আক্তার (২৫)। তিনি নগরীর জে সি গুহ রোড এলাকার মো. আব্দুল হাকিমের স্ত্রী। আব্দুল হাকিম ব্যাটারির ব্যবসা করেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই শুব্রত সাহা জাগো নিউজকে বলেন, আমি রাতে ডিউটিতে ছিলাম। এসময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশনায় ওই নারীকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই, ঘরের বাইরের দিকে বেশ কয়েকটি ব্যাটারির দোকান। সবগুলো দোকানেই তালা দেওয়া। ব্যাটারির দোকানগুলো ভুক্তভোগী সোমা আক্তারের স্বামীর। রাতে দোকানগুলো এভাবেই তালা দেওয়া থাকে। তবে সোমা আক্তারের স্বামী মো. আব্দুল হাকিম রাতে নিজ বাসায় ছিলেন না। মধ্যরাতে সোমা আক্তারের চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভেঙে যায়। পরে প্রতিবেশীরা দোকানের সামনে লেখা নম্বরগুলোতে অনেকবার কল দিলেও কেউ কল রিসিভ করেননি। এরপর স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন।

তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, ওই ঘরে ঢুকতে হলে দোকানের তালা বা দেয়াল ভেঙেই ঢুকতে হবে। পরে উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় ঘরের পেছনের দিকের বাথরুমের দেয়াল ভেঙে অসুস্থ সোমা আক্তারকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোমাকে ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরে জানতে পারি, গত রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সোমা আক্তারের মারাত্মক রক্তশূন্যতাসহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে সোমা সুস্থ আছেন।

এসআই শুব্রত সাহা আরও বলেন, ওই নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সোমার স্বামী আবদুল হাকিম জানান, পুলিশের সাহায্যে আল্লাহ আমার স্ত্রীকে বাঁচিয়ে রেখে গেছেন। ঠিক সময়ে পুলিশ না এলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে রাত ২টার দিকে খবর পাই। যেকোনো উপায়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে নির্দেশ দেই। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশের দায়িত্ব মানুষের জানমাল রক্ষা করা। পুলিশ তাদের সেই দায়িত্ব পালন করেছে।