২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:১২
শিরোনাম:

ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

 

১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন ট্রাক মালিক ও শ্রমিকেরা। তাদের দাবির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাক মালিক শ্রমিকদের ডেকেছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। সময় টিভি

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম পাটোয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন। আমাদের ১৫ সদস্যের একটি দল গিয়েছে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রীকে অবগত করব। আশা করছি তিনি আমাদের সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন।

পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের ১৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয় তাহলে আজ থেকেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। আর দাবি না মানলে কর্মবিরতি চলবে। পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা আশা করছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের যখন ডেকেছেন তখন দাবি মেনে নেবেন।

ট্রাক মালিক-শ্রমিকদের ১৫ দফা দাবিগুলো হলো-মোটরযান মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। যেসব চালক ভারি মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সবাইকে সহজ শর্তে এবং সরকারি ফির বিনিময়ে লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন ক্ষেত্রে পুনরায় হয়রানিমূলক ফিটনেস ও পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। সকল শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় রেশন সুবিধার আওতায় আনতে হবে।

সকল বন্দরে অবস্থিত ট্রান্সপোট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং সকল ড্রাইভার ও সহকারীকে বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বার্ষিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দিতে হবে। গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারিত করতে হবে। যেখানে সেখানে গাড়ি চেকিং করা যাবে না। পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সকল প্রকার হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রতি ৫০ কিলোমিটার পর পর পণ্য পরিবহনের শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক ও মহাসড়কে বিশ্রামাগার ও টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে এককালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।