১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:০৮
শিরোনাম:

ডিজিটাল প্রতারণার বিচারে সংশোধন হচ্ছে আইন

ডিজিটাল প্রতারণার বিচার করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিজিটাল কমার্সে সাম্প্রতিক সমস্যা বিষয়ে আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। ১০টি বা ১৫টি খারাপ কোম্পানির জন্য সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। কারণ ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে লাখ লাখ উদ্যোক্তা এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের জীবিকা খুঁজে পেয়েছেন সেটি বন্ধ করা ঠিক হবে না।

ই-কমার্স পরিচালনার জন্য কিছু সুপারিশের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান,ই-কমার্স ব্যবসাকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার জন্য ই-কমার্স রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য কোনো আইন নেই, নীতিমালার আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং একটি ডিজিটাল কমার্স আইন করতে হবে। আরেকটি বিষয় এসেছে, যে অভিযোগ আসছে সেগুলো ভোক্তা অধিকার, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্নভাবে মোকাবিলা করছে। কিন্তু সব কমপ্লেইন মনিটরিংয়ের জন্য কোনো সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখনও আমরা করতে পারিনি, এটা করতে হবে। যাতে কমপ্লেইনগুলো মনিটরিং করা যায় এবং মামলা-মোকাদ্দমার আগেই সেগুলোর ফয়সালা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, যারা এরই মধ্যে অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের ক্ষেত্রে কোনো কোনো সদস্য বলেছেন কিছু সমস্যা আছে। যেমন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, এই দুটি আইনের অধীনে যেন ডিজিটাল প্রতারণা হলে বিচার করা যায়। সেজন্য আইনের সামান্য সংশোধন করতে হবে। এ বিষয়ে একমত হওয়া গেছে যে এটি করতে হবে। আর সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই নিবন্ধন নিতে হবে। একটি ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না। এগুলোই মোটাদাগে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো নিয়ে কাল থেকেই আমরা কাজ শুরু করবো।

সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।