২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৪২
শিরোনাম:

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আমরা স্বৈরাচার এরশাদের দোসর হিসেবে জানতাম: রিজভী

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, উনাকে (জাফরুল্লাহ চৌধরীকে) তো আমরা স্বৈরাচার এরশাদের দোসর হিসেবে জানতাম। তিনি এখন বক্তব্য রাখেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন। এরশাদের সঙ্গে ওষুধ নীতি নিয়ে কি দহরম মহরম করেছেন তা মানুষের জানা আছে। আজকে জাতির বিবেক হয়েছেন, কে কি করবে না করবে কার কি করা উচিত সেটার মাত্রা ছাড়িয়ে ছবক দিচ্ছেন উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বর্ষীয়ান ব্যক্তি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। ওনার বয়স হয়েছে। কিন্তু সকল নর্মসের বাইরে কথা বলবেন তা হতে পারে না। তিনি মাঝে মাঝে বিএনপি ও বিএনপির নেত্রী সম্পর্কে এমন কথা বলেন যা সকল সভ্যতা, সুরুচির বাইরে চলে যায়।

বেগম খালেদা জিয়া বাইরে না মুক্ত সেটা তো অবশ্যই তার জানার কথা। খালেদা জিয়া কারাবন্দী ছিলেন, এখন গৃহবন্দী। অনেক শর্ত আরোপ করে তাকে বাসভবনে রাখা হয়েছে। তিনি মুক্তভাবে কোথাও যেতে পারেন না। এখন তিনি মুক্ত হলে কোথায় যাবেন কিভাবে যাবেন সেটা তো তার সিদ্ধান্ত।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখন বেগম খালেদা জিয়া কি অবস্থায় আছেন সেটা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জানার কথা। তার পরেও তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে মাঝে মাঝে এমন মন্তব্য করেন যে মন্তব্যটা রুচিশীল নয়। মনে হয় কোন শক্তিকে খুশি করার জন্য তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, অনেকেই বলেন বা আমরা খবরের কাগজে দেখি জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয়তাবাদী শক্তির সমর্থিত বুদ্ধিজীবী বলা হয়, যদি তাই হয় তাহলে তিনি প্রকাশ্যে যেভাবে বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেন এটা সকল সভ্যতা, শিষ্টাচারের বিপরীত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিতে এখন ইস্পাত কঠিন ঐক্য বিদ্যমান।