২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৪২
শিরোনাম:

ডেন্টালে ভর্তির আশ্বাসে প্রতারণার অভিযোগে মুসা গ্রেপ্তার

ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে প্রতারণার অভিযোগে মো. আবু মুসা আসারী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ। এ সময় তার কাছ থেকে ভুয়া পরিচয়পত্র, একাধিক এনআইডি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, রোববার (২৪ অক্টোবর) রাতে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার থেকে মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হবে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক মেয়ের অভিভাবক যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার মেয়ে গত ১০ অক্টোবর ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ফলাফল খারাপ হয়। পরবর্তীতে ১২ অক্টোবর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর আসামির সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়ের বাবার পরিচয় হয়।

মুসা আসারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের রোল নম্বর নেন। তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করে জানান যে তার রেজাল্ট ভালোই হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছেন কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তার নাম আসেনি। তবে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ডেন্টালে ভর্তি করিয়ে দিতে পারবেন।

তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের কাছে এত টাকা না থাকায় মুসা বলেন এখন দুই লাখ টাকা দিলেই হবে। বাকি টাকা ডেন্টালে ভর্তির পরে দিলে হবে।

তিনি বলেন, অভিযুক্তের কথা বিশ্বাস না করায় তখন ভিকটিমের ইমো আইডিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক কর্মকর্তার পরিচয়পত্র ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে ভুয়া কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠান। এসব দেখে ভিকটিম বিশ্বাস করেন সে মুসা সত্য কথাই বলছেন। এ জন্য যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক সড়কের রেটিনা কোচিং সেন্টারের সামনে চাহিদা মোতাবেক মুসাকে দুই লাখ টাকা প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, টাকা দেওয়ার পর দিন মুসাকে ফোন দিয়ে রেজাল্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, আজকের মধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। তা নাহলে রেজাল্ট পরিবর্তন হবে না। তখন বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয় ওই শিক্ষার্থীর বাবার। তখন মুসার কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখায় মুসা। এ ঘটনায় গত শনিবার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।

পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগে হস্তান্তর হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রোববার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।