২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:০৫
শিরোনাম:

হত্যার পরও যৌন নির্যাতন চালানো হয় শিশু সানির ওপর

রাজধানীতে পাঁচ বছরের শিশু সানি হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনসহ মূল আসামি চাঁন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগ।

আজ বুধবার পল্টন থানার বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি জানান, শিশু সানি গত ৯ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হয়। মা ঝর্ণা বেগম ওই রাতে ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পরেরদিন সকালে তার বোন জামাই চাঁন মিয়াকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে পল্টন মডেল থানা এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে শিশু সানির বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় চাঁন মিয়ার সহায়তায় পল্টন থানায় ল্যাংড়া রাসেল, পিন্টু, জুয়েল, কালাম, পায়েল ও হীরার নামে মামলা করেন ঝর্ণা বেগম। মামলাটি প্রথমে পল্টন থানা পুলিশ তদন্ত করে এবং পরবর্তীতে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ তদন্ত শুরু করে।

এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, ঘটনার আগের দিন রাতে চাঁন মিয়া শিশু সানিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন বিকেলে ফুটপাত থেকে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং সন্ধ্যায় স্টেডিয়াম এলাকা থেকে পাঁচটি ঘুমের ওষুধ কেনেন।

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে স্টেডিয়ামে একটি দোকান থেকে ফ্রুটো জুস কিনে তাতে ঘুমের ওষুধ মেশান এবং নিজে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটটি খান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশু সানিকে স্টেডিয়াম এলাকায় পথশিশুদের সঙ্গে খেলতে দেখে তাকে ডেকে নেন চাঁন মিয়া। পরে তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ান। সানি জুস খেয়ে একপর্যায়ে দুর্বল হয়ে পড়লে তাকে গুলিস্তান পার্ক এলাকায় নিয়ে যৌন নির্যাতন করেন চাঁন। পরে তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। মৃত্যুর পরও সানির ওপর যৌন নির্যাতন চালান। পরবর্তীতে লাশ বস্তাবন্দি করে রাতে পুলিশ বক্সের সামনে ফেলে যান।

পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনার পরেরদিন সানির লাশ পাওয়ার বিষয়ে ঝর্ণা বেগমকে খবর দেওয়ার মিথ্যা নাটক করেন চাঁন মিয়া।