২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৫৪
শিরোনাম:

স্বামী ও সন্তানের মৃত্যু, পাশে থেকে টের পেলেন না স্ত্রী

নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বাবা আবদুল কাইয়ুম (৩২) ও দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিলের লাশ উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।

একই রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান। কিন্তু বাবা-ছেলের লাশ পাওয়া গেল পাশের রুমে। কিন্তু টেরই পেলেন না স্ত্রী, বিষয়টি রহস্যজনক। পুলিশের ধারণা, সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন বাবা।

মৃত আবদুল কাইয়ুম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার খামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় নাগরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাকরি করতেন। বাসা বাড়া নিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে নাগড়া এলাকায় থাকতেন তিনি।

মৃতের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সড়কের রুহুল আমীনের বাসার চতুর্থ তলায় গত প্রায় সাত বছর ধরে তারা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতের খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে তারা এক রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৫টায় উঠে পাশের রুমে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি। পরে তিনি স্বামী ও সন্তানের লাশ নামিয়ে ফেলেন। এরপর বাসার দরজা খুলে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান। ঘটনা শুনে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।

নেত্রকোণা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকের আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে তারা নেত্রকোণা শহরের নাগড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সড়কের রুহুল হোসেনের বাসায় গিয়ে ঝুলন্ত লাশ দুটি দেখতে পান।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের জন্য দু’জনের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।