২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:০৮
শিরোনাম:

ভাসানীর মাজারে এসে প্রধানমন্ত্রীকে দোয়া নেওয়ার আহ্বান ডা. জাফরুল্লাহর

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে আমি প্রত্যাশা করেছিলাম আপনি নিজে এই মাজারে আসবেন। যদি দুই সপ্তাহ পৃথিবী ভ্রমণ করতে পারেন তাহলে ১০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টারে করে এখানে আসতে পারতেন। ভাসানীর দোয়া নিতে পারতেন। আপনার পিতা বিপদের সময় মওলানার কাছে এসে বসতেন। আজকে আপনারো সময়ে এসেছে এই মাজারে এসে তার কাছ থেকে দোয়া নেওয়ার।’

বুধবার (১৭ নভেম্বর) মওলানা ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে ধরাই সাপ বসে আছে, একদিকে ‘র’ ‘মোসাদ’ আরেক দিকে মানুষের অনাহার, পুষ্টিহীনতা, জিনিসপত্রের দাম কল্পনাতীতভাবে বাড়ছে। আপনি ভারতের প্রেসিডেন্টকে এনে এর থেকে রেহাই পাবেন না। রেহাই পেতে পারেন মওলানা সাহেবের দোয়া নিয়ে। আগে এক ভুল করেছেন পীরগঞ্জে আপনি যাননি। তারা বলেছেন আমাদের মাকে তো দেখতে পেলাম না। আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনি হেলিকপ্টার নিয়ে আধা ঘণ্টার জন্য হলেও মওলানা সাহেবের দোয়া নিয়ে যান।’

তিনি আরো বলেন, নিভৃতে আসুন। তার কাছে কামনা করেন কিভাবে দেশ পরিচালনা করতে হবে। কিভাবে দেশে গণতন্ত্র আনতে হবে। তা না হলে আমাদের সম্মুখে বড় বিপদ। আপনার বাবার বিপদের সময় তার পাশে একমাত্র মওলানা সাহেব থাকতেন। আজকে আপনিও এসে ওনার দোয়া নিয়ে যান।’

দুপুরে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা ভাসানীর মাজারে আসেন। তারা মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধানসমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।