১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:০১
শিরোনাম:

‘আপনারা ভোট না দিলে আমারে মারি পাকিস্তান পাঠাই দেবে’

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হোসেন রানা গণসংযোগকালে ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বিবেক-মেধা খাটিয়ে আপনারা ভোটটা আমারে (আমাকে) দিবেন। ভোট না দিলে আমারে মারি পাকিস্তান পাঠাই দেবে। যদি আমারে রাখেন, তাহলে আপনারা ভোট দিয়ে আমারে এলাকায় রাখবেন’।

শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামে গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন। হোসেন রানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

হোসেন রানা আরও বলেন, ‘এখন আর ভোট কাটার সুযোগ নেই। ভোট হবে ইভিএমে। আপনাদের অনেকেই বলবে, কেন্দ্রে যাইয়েন না। আপনারা কেন্দ্রে যাবেন। স্বচ্ছভাবে হাসিখুশিভাবে আপনারা ভোট দিবেন।’

বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করে হোসেন রানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহেল পাটোয়ারী আমাকে হুমকি দিয়েছেন, ভোটে না জিতলে আমাকে মেরে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেবেন। আমি সেটি জনগণের কাছে উপস্থাপন করেছি। সেখানে গণসংযোগকালে সোহেলের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সাংবাদিকসহ তিনজন আহত হয়েছেন।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী সোহেল পাটোয়ারী বলেন, ‘রানাকে মারধর কিংবা পাকিস্তান পাঠানোর ব্যাপারে কখনোই কিছু বলা হয়নি। এটি তিনি নিজ থেকেই বলে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। বিভিন্ন সময় মানুষকে তিনি (রানা) গালমন্দ করেছেন। এজন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন।’

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগে নির্বাচনী প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে হোসেন রানার এমন প্রচারণার বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। নৌকার প্রার্থীর হুমকির বিষয়েও তিনি (রানা) আমাকে অবগত করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আচরণবিধি মেনে চলার নিয়ম অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বে রয়েছে।

আগামী ২৮ নভেম্বর নোয়াগাঁওসহ রামগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নোয়াগাঁও ইউনিয়নে সোহেল পাটোয়ারী ও হোসেন রানা ছাড়াও তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।